দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দিরে ভক্তের ঢল। কিন্তু জানেন কি দক্ষিণেশ্বরের মন্দির তৈরী হয়েছিল অন্য আরেকটি মন্দিরের আদলে৷
হুগলী জেলার ‘মহানাদ’ নামক একটি অখ্যাত গ্রামে এই মন্দিরটি অবস্থিত। নাম ‘ব্রহ্মময়ী কালী মন্দির’, পরিচিত ‘মহানাদ কালীবাড়ি’ নামে।
তবে অনেকে ভিন্ন মত পোষণ করেন। টালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের পাশে মহাবীর তলার অল্প দূরে “রাধাকান্ত মন্দির” নামে যে নবরত্ন মন্দির আছে , তার আদলে দক্ষিণেশ্বর মন্দির নির্মিত অনেকে বলে থাকেন।
কালের হিসেবে মহানাদ কালী মন্দির হোক বা রাধাকান্ত মন্দির হোক, দুটি মন্দির ই দক্ষিণেশ্বর মন্দির এর অনেক আগে নির্মিত।
মহানাদ মন্দিরটি তৈরি হয় ১৮৩০ খৃষ্টাব্দে, দক্ষিণেশ্বর মন্দির প্রতিষ্ঠার পঁচিশ বছর আগে। যিনি এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন তাঁর নাম শ্রী কৃষ্ণচন্দ্র নিয়োগী। শোনা যায় স্বয়ং রাণী রাসমণি এখানে আসেন ১৮৪৭ সালে। মন্দির এবং সেখানকার মাতৃমূর্তি দেখে তিনি এতটাই অভিভূত হয়ে পড়েন যে সেই বছরই সংকল্প নেন অনুরূপ একটি মন্দির তৈরি করবেন। অতঃপর শুরু হলো দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির তৈরির কাজ।
সন্ধান মিলল ১৩০০ বছরের পুরনো মসজিদের! জানা যাবে ইসালামি ইতিহাসের অজানা তথ্য
দীর্ঘ আট বছর ধরে সেই কাজ চলার পর ১৮৫৫ খৃষ্টাব্দে উদ্বোধন হলো এক সুবৃহৎ মন্দির, যা কিনা অধুনা দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দির।
মহানাদ কালীবাড়ির গঠনশৈলী এবং মাতৃমূর্তির রূপ এর ছায়া আছে দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দিরে।
এছাড়াও মহানাদে আছে “জটেশ্বর শিব মন্দির”, আনুমানিক আটশো বছর আগে তৈরি এই মন্দিরটির অন্যতম দ্রষ্টব্য কিছু প্রত্নতাত্ত্বিক মূর্তি। যার মধ্যে বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য শিব এবং অন্নপূর্ণার মূর্তিটি।