গত কয়েকদিন ধরেই লাদাখে চীন ভারত সীমান্তে দুই দেশের সেনাবাহিনীদের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। সোমবার রাতে গালওয়ান উপত্যকায় সেই উত্তেজনা মুখোমুখি সংঘর্ষের রূপ নেয়। ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছিল যে তিন ভারতীয় সেনা এই সংঘর্ষে শহীদ হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন 17 জন। পরে জানা গেছে অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে ওই আহত 17 জনেরও মৃত্যু হয়েছে৷ শহিদ হয়েছেন মোট কুড়ি জন জওয়ান। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বাংলার বীরভূমের বেলগড়িয়া গ্রামের রাজেশ ওরাং।
2015 সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন রাজেশ। তারপর থেকে লাদাখেই পোস্টিং ছিল তাঁর। দেশকে রক্ষা করতে গিয়ে গতকাল প্রাণ গিয়েছে রাজেশের। এই ঘটনায় শোকস্তব্ধ এবং গর্বিত পুরো বেলপাহাড়ি গ্রাম। শোকস্তব্ধ বন্ধুরা রাজেশকে শেষ দেখার অপেক্ষা করতে করতে বলেছেন, “গ্রামের সব বন্ধুদের একটা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ রয়েছে ৷ তাতে রাজেশ সীমান্ত থেকে সুন্দর সুন্দর ছবি তুলে পাঠাত মাঝে মাঝেই। মজার মেসেজ করত৷ আর আসবে না রাজেশের মেসেজ৷ চিন সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ায় রাজেশ বলেছিল চিনের জিনিস ব্যবহার না করতে। চিনের সফটওয়্যার ব্যবহার করতেও বারণ করেছিল।”
আরও পড়ুন দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছে ছেলে! দৃঢ় গলায় মা বললেন আমি গর্বিত
মঙ্গলবার রাজেশের মৃত্যুর খবর প্রথম পান বোন শকুন্তলা ওরাং।বুধবার সকাল থেকেই রাজেশের বাড়ির সামনে ভিড় জমিয়েছেন গ্রামবাসীরা। কেউ বিশ্বাসই করতে পারছেন না রাজেশ আর নেই। শেষ সরস্বতী পুজোর সময় বাড়ি এসেছিলেন। বাড়ি আসার কথা থাকলেও লকডাউনের জন্য আসতে পারেননি। কিন্তু গতকাল হঠাৎ করে সেনাবাহিনী থেকে আসা ফোনে সব শেষ। রাজেশ শর্মার মৃত্যুতে তাঁর শোকস্তব্ধ পরিবারের প্রতিক্রিয়া, রাজেশ সহ অন্যান্য জওয়ানদের মৃত্যুর যোগ্য জবাব দিক ভারত। রাজেশের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ পুরো বাংলা।