একবিংশ শতাব্দীর ভারতেও কন্যাসন্তানের এমন দুর্দশা! মেয়ে হয়েছে, তাই আত্মঘাতী বাবা। সেই আঘাত সহ্য করতে না পেরে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হল মায়েরও। ত্রিপুরার এই মর্মান্তিক ঘটনার পর অনাথ হয়ে গেল সদ্যোজাত।
৪ দিন আগে কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন সুপ্রিয়া দাস। তারপর থেকেই আকাশ ভেঙে পড়ে তাঁর মাথায়। দিনরাত শ্বশুরবাড়ি থেকে কটু কথা তো শুনতে হতই। এমনকী মেয়ে হওয়ার জন্য কথা শোনাতে ছাড়েননি স্বামী প্রাণ গোবিন্দ দাসও।
সকলেই চেয়েছিল ছেলে হোক, কিন্তু মেয়ে হয়েছে। এটাই অপরাধ সুপ্রিয়ার।
আরও পড়ুন বাতিল হল এবছরের অমরনাথ যাত্রা
বারবার ঝগড়ার পর অবশেষে নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন প্রাণ গোবিন্দ। আগরতলা মেডিক্যাল কলেজে স্বামী মারা যাওয়ার খবর পেতেই হার্ট অ্যাটাকে মারা যায় সুপ্রিয়া। তার আগে পর্যন্তও কন্যা সন্তানের দায়ে তাঁকে হেনস্থা করতে ছাড়েননি শাশুড়ি।
দক্ষিণ ত্রিপুরার এই ঘটনার কথা জানাজানি হতে হতবাক এই পরিবারের পড়শিরাও। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, সুপ্রিয়ার শাশুড়ি বারবার কন্যা সন্তান পরিবারের পক্ষে ‘অশুভ’ বলে কথা শুনিয়েছে সুপ্রিয়াকে। পুলিশ কড়া হাতে এ ঘটনার তদন্তে নেমেছে।