সুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যুর ব্যাখ্যায় আবারও নতুন মোড়। ‘কেউ আত্মহত্যা করতে চাইলে বেদানার রস নিয়ে ঘরে ঢোকে না,’ স্পষ্ট কণ্ঠে জানাচ্ছেন তাহলে কে খুন করল সুশান্তকে? মহেশ ভাট এবং রিয়া চক্রবর্তী নাকি পরিকল্পিতভাবে খুন করেছেন সুশান্তকে। এমনই দাবি করছেন বলিউড অভিনেত্রীর।
সম্প্রতি পায়েল নিজের ইউটিউবে চ্যানেলে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। যেখানে অসংখ্য জিনিস নিয়ে কথা বলেন তিনি। মহেশ ভাট, রিয়া চক্রবর্তী, কর্সি চাভরা (সুশান্তের সাইকোলজিস্ট), সলমন খান, সোনম কাপুরের নাম তুলে একাধিক মন্তব্য করেন।
প্রথমেই তিনি কর্সি চাভরার কথা বলে তিনি জানান, এই ডাক্তার নাকি অধিকাংশ মানুষকে ইচ্ছাকৃত বাইপোলার ডিসঅর্ডার নিয়ে চিকিৎসা করেন। যে বাইপোলার নয়, তাঁকে জোর করে অবসাদের ওষুধ খাওয়াতেন।
পায়েল বলছেন, এই কর্সি চাভরা নাকি মহেশ ভাটের ঘনিষ্ঠ মহলের মধ্যে একজন। তাঁর কথাতেই সুশান্তকে অবসাদের ওষুধ খাওয়াতেন এই সাইকোলজিস্ট। সুশান্তের এই ডাক্তার পায়েলেরও চিকিৎসা করিয়েছিলেন এক সময়। সেই সময় পায়েল তাঁর কাছে মানসিক অবসাদের জন্য যেতেন। তিনি সেই সময় পায়েলকে চিকিৎসা করিয়ে ইচ্ছাকৃত বাইপোলার বলে দাবি করতেন। এবং তাঁকেও জোর করে অবসাদের ওষুধ খাওয়াতেন।
আরো পড়ুন – মেডিক্যাল কলেজে করোনার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে চুরি
সেই নিয়েই পায়েল জানান, সুশান্তকে মহেশ ভাট এবং কর্সি চাভরা সুশান্তকে পরিকল্পিতভাবে খুন করেছেনষ এবং সঙ্গে রয়েছেন রিয়া চক্রবর্তী, বাড়ির কাজের লোকজন এবং কমপ্লেক্সের কর্মচারী যারা সিসিটিভি আগের দিন রাত থেকে বন্ধ করে দেয়।
পায়েল সুশান্তের মরদেহের ছবি নিয়েও যুক্তি দেন। কোনও মানুষের দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেলে চোখ বেরিয়ে আসার কথা, জিভ বেরিয়ে আসার কথা, পায়ের শিরা ফুলে যাবে, হাত মুঠো করা থাকবে, তেমন কোনও চিহ্নই ছিল না তাঁর শরীরে।
অন্যদিকে তাঁকে দেখে মনে হচ্ছিল কেউ গলা টিপে মেরে ফেলেছে। গলার দাগটিও সেরকমই ছিল। পায়েলের প্রতিটি কথায় সহমত নেটিজেনরাও। পায়েল বিশ্বাস করেন এটি পরিকল্পিত খুন, কোনও আত্মহত্যা নয়।
মানসিক অবসাদে থাকা মানুষ, আত্মহত্যার কথা ভাবলে আগের দিন রাতে পার্টি করে না, সকালে উঠে বেদানার রস খেয়ে আত্মহত্যা করতে যায় না। এর পিছনে বলিউডের প্রভাবশালী ব্যক্তি মহেশ ভাটই রয়েছেন।
আরো পড়ুন – আজ রথযাত্রা – লোকারণ্য ধুমধাম ছাড়াই করোনা আবহে পুরীর রথযাত্রা
মহেশ ভাটের সঙ্গে কোনও হিরোইনের এমন কোনও সম্পর্ক নেই যাঁরা তাঁর সঙ্গে কাজ করেছেন। অথচ রিয়ার সঙ্গে এমন সম্পর্ক কেন ছিল তাঁর। যার জন্য সুশান্তও ভয় পেয়ে বলেছিলেন, রিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক থাকলে তাঁকে হয়তো কোনওদিন খুন হতে হবে।
