বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনা থেকে শুরু করে পিপিই কিট নিয়ে বিভিন্নভাবে এবং অসংখ্যবার খবরের শিরোনামে এসেছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।
এবার ফের একবার সংবাদের শিরোনামে এলেন একজন নার্স। সৌজন্যে, অবশ্যই পিপিই কিট। কিন্তু এবারে যেভাবে, যে কারণে খবরের কারণ তিনি হয়েছেন তা অভূতপূর্ব!
রাশিয়ার টুলা শহরের ঘটনা। মস্কো থেকে প্রায় ১০০ কিমি দূরে অবস্থিত এই শহরের এক হাসপাতালে পুরুষদের ওয়ার্ডে সেবার কাজে নিযুক্ত রয়েছেন ঐ যুবতী নার্স। তবে এবারে যখন সেই ওয়ার্ডে তিনি তাঁর ‘ ডিউটি ‘ করতে ঢুকলেন, মুহুর্তেই রোগীদের চোখ কপালে। কারোও বা ঠোঁটের কোণে দেখা দিয়েছে মুচকি হাসি। তার কারণ আর কিছুই না ঐ সুন্দরী নার্স পিপিই কিটের নীচে কোনো পোষাকই পরেননি! পরে রয়েছেন শুধু অন্তর্বাস। তার ওপর পিপিই কিটটিও সম্পূর্ণ ট্রান্সপারেন্ট! ফলত গোটা ব্যাপারটাই অর্থাৎ শরীরী বিভাজিকা ও অন্তর্বাস দুইই দৃশ্যমান রোগীদের কাছে।
আরো পড়ুন – দু’মাস পরে শুরু হলো অন্তর্দেশীয় বিমান পরিষেবা -জেনে নিন নতুন নিয়ম ।
তাতে অবশ্য থোড়াই কেয়ার ঐ নার্সের। আর পাঁচটা দিনের মতো স্বাভাবিকভাবেই গল্প হাসি বিনিময় করতে করতে রোগীদের সেবা করে চলেছেন তিনি। গোটা ঘটনাটির ভিডিও ও ছবি প্রকাশ্যে আসতেই মুহূর্তে তা হয়েছে ভাইরাল। নেটদুনিয়ায় পড়ে গেছে জোর হইচই।
তবে এই ব্যাপারটি মোটেই প্রভাবিত করেনি ঐ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। সেই নার্সকে এহেন ঘটনার জন্য তারা বরক্ষাস্তের হুমকি দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে সেই নার্স জানিয়েছেন, ”পিপিই কিট পরে কাজ করা কষ্টকর। সারাক্ষণ পিপিই পরে থাকলে খুব গরম লাগে। আমি প্রথমে বুঝতে পারিনি যে পিপিই কিট আসলে ট্রান্সপ্যারেন্ট। বুঝিনি, আমার অন্তর্বাস দেখা যাবে।” যদিও সেই নার্সের এমন যুক্তি কেউ মানতে নারাজ।
আরো পড়ুন – উত্তরাখণ্ডের দাবানলের খবর আসলে ভুয়ো !!
তাতে অবশ্য তারও কিছু যায় আসে না। তিনি যেটা ঠিক মনে হয়েছে সেটাই করেছেন। আর একজন রোগীও তাঁর এই পোষাক নিয়ে কোনো অভিযোগ করেননি। অনেকে আবার বলেছেন, সেই সেবিকা করোনা আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে একটু হাসির পরিবেশ ফিরিয়ে দিয়েছেন। তার শাস্তি হওয়া একেবারেই উচিত নয়। বরং তাঁকে পুরস্কার দেওয়া উচিৎ! তার ওপর এরকম সঙ্কটের সময় একজন নার্সকে বরক্ষাস্ত করাটা কতটা যুক্তিপূর্ণ হবে সেইই নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।