ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের অশনি সংকেত বিশ্বজুড়ে। আতঙ্কিত ইউরোপ থেকে শুরু করে গোটা বিশ্ব। এই পরিস্থিতিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আবেদনে সাড়া দিয়ে ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর অনুমতি দিল রুশ পার্লামেন্ট। এই বিষয়ে পার্লামেন্টের ১৫৩ সদস্যের সবাই প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সহমত। এর থেকে প্রমাণিত, এবার ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রায় হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে মস্কো। যুদ্ধ শুধু সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞমহল।
পার্লামেন্টের অনুমতি পাওয়ার পর রাশিয়ার ডেপুটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নিকোলে প্যানকভ জানিয়েছেন, ‘‘ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনা থমকে গিয়েছে। ইউক্রেন নেতৃত্ব হিংসা ও রক্তপাতের পথ নিয়েছেন। তাই আমাদের হাতে আর কোনও বিকল্প নেই।’’ তাঁর অভিযোগ, পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী সমর্থিত অঞ্চল সেনা ও যুদ্ধ সরঞ্জামে মুড়ে দিয়েছে ইউক্রেন। তাই অন্য রাজ্যের সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং আগ্রাসন রুখতে রাশিয়া লড়াই করবে। অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দাবি, ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসন চালাচ্ছে রুশ হানাদার বাহিনী।
ইউক্রেন ইস্যুতে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মঞ্চে কার্যত কোণঠাসা রাশিয়া। রাশিয়ার ওপর একের পর এক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা। একই পথে হাঁটছে ব্রিটেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কানাডা। পুতিনের আগ্রাসনের নিন্দা করেছে রাষ্ট্রসংঘও। তবে, চিন ও ভারত এখনও মস্কোর পাশেই রয়েছে। অতীতের কথা মাথায় রেখে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করছে নয়াদিল্লি। তাই গতকাল রাষ্ট্রসংঘের বৈঠকে আশঙ্কা প্রকাশ করলেও সরাসরি রাশিয়ার বিরোধিতা করেনি ভারত।