হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, জৈন, ধর্ম অনেক। তাদের আচার-ব্যবহার রীতিনীতি এসব কিছুই একে অপরের থেকে কিছুটা আলাদা। কিন্তু মানুষ সকলে সমান। প্রত্যেকেই আমরা রক্ত মাংসে গড়া, ধর্ম আলাদা হলেও ব্যথা দুঃখ বিপদ শোক এর অনুভূতি একই, খিদের কোন ধর্ম হয় না৷
তবুও কিছু মানুষ মানুষের প্রতি অসহিষ্ণু হয়ে পড়ে। ধর্মের নামে বিভেদকে জেনে বা না জেনে প্রশ্রয় দেয়৷ বিজয়ের শুভেচ্ছা জানানো কিংবা গণেশ চতুর্থীর শুভেচ্ছা জানানোর জন্য একাধিকবার ভার্চুয়াল হুমকি, গালিগালাজ,খারাপ কথা শুনতে হয়েছে, একাধিকবার একাংশ মানুষের রোষের শিকার হয়েছেন সমালোচনার শিকার হয়েছেন সঞ্চালক মীর আফসার আলি৷
কারণ ধর্মের বিচারে তিনি মুসলিম। হিন্দুদের দেবতার পুজো তে কোনো রকম শুভেচ্ছা জানানোয় আপত্তি উঠেছিল একাংশের।
দীপাবলিতে তার সহকর্মী এই সময়ের জনপ্রিয় মিরচি অগ্নি মানবিকতার বার্তা দিলেন। শুভ দীপাবলি লেখা পোস্টার ধরে রয়েছেন মীর এবং অগ্নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তিনি লিখেছেন
সিঙ্গুরের ডাকাতকালী মন্দিরে শূদ্রদের আনা জলে শুরু হয় পুজো
‘হিন্দু না ওরা মুসলিম ওই জিজ্ঞাসে কোনজন?’
আমার পাশের মানুষটিকে আমি বরাবর শিক্ষক হিসেবেই দেখেছি। শিক্ষকদের কোন ধর্ম হয়না। ঠিক তেমনই কয়েকজন মৌলবাদী (রাস্তায় বা সোশ্যাল মিডিয়ায়) আমাদের উৎসব ম্লান করতে পারবে না। সবাইকে শুভ কালীপুজো ও দীপাবলির আলোকিত শুভেচ্ছা। চলুন সবাই আলোর উদ্দেশ্যে এগিয়ে যাই।”
এভাবেই মানবিকতার বার্তায় দীপাবলিতে তিনি আলোর সন্ধান করেছেন সকলের মনের মধ্যে। আলো ছড়িয়ে যাক। যত হিংসা যত হানাহানি সমস্ত কিছু নিপাত যাক এই দীপাবলিতে।