Home দেশ লাদাখের প্যাংগং অঞ্চলে চীনা ভাষায় হুশিয়ারি বার্তা লালফৌজের

লাদাখের প্যাংগং অঞ্চলে চীনা ভাষায় হুশিয়ারি বার্তা লালফৌজের

by banganews
লাদাখের প্যাংগং অঞ্চলের চীন অধ্যুষিত অংশে বৃহদাকার ম্যান্ডারিন ভাষা ক্যালিগ্রাফিক চিহ্ন এঁকে দিয়েছে লাল ফৌজ। সামরিক অঞ্চল ভেদের ফিঙ্গার ৪ থেকে ফিঙ্গার ৫ অংশের মধ্যবর্তী স্থানে এই দানবাকৃতির চিহ্ন এঁকে চীন সেই অঞ্চলে তাদের প্রভাব প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছে। এই অঞ্চলটির আনুমানিক পরিমাপ দৈর্ঘ্য ৮১ মিটার এবং প্রস্থ মোটামুটি ভাবে ২৫ মিটার। এর আকৃতি এতটাই স্পষ্ট যে শক্তিশালী স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তা স্পেস থেকেই নির্দেশ করা যাচ্ছে। এই সপ্তাহের শুরুর দিকে লাল ফৌজের স্থানীয় কমান্ডার ওয়াং হাজিয়াং তিব্বতের ভারত-চীন সীমান্তের ফ্রন্টিয়ার পজিশনে ইংরেজিতে চায়না শব্দটি খোদাই করে ছবি তুলেছে এবং সেই ছবিটি ইতিমধ্যেই ভাইরাল।
ভারতের দাবি অনুসারে লেকের নিকটবর্তী ফিঙ্গার ১ থেকে ৮ পর্যন্ত অঞ্চলে টহলদারির অধিকার কেবল মাত্র ভারতের। সেই দাবি সরাসরি নাকচ করে দিয়ে চীন জানায় কেবল ফিঙ্গার ৪-৮ অঞ্চলে তারা পেট্রোল করতে পারে বাকি অংশে চীনের আধিপত্য থাকার কথা। বর্তমান পরিস্থিতিতে উভয় পক্ষের কূটনৈতিক আলোচনার পথ ব্যর্থ হলে বল প্রয়োগে চায়না ভারতকে ফিঙ্গার ৪ থেকে ৮ পর্যন্ত অংশেও নজরদারি করতে বাধা দিচ্ছে। পারস্পরিক হাতাহাতি ও সংঘর্ষ এবং তার সাথে দুই বিবাদী দেশের রণং দেহি মনোভাব উভয় দিকের সেনাবাহিনীকেই অতিরিক্ত চাপে ফেলেছে। বিশ্বজুড়ে মহামারীর সময় অতিরিক্ত এই সামরিক চাপ দুটি দেশকে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিতে পারে। এই মাসের মাঝামাঝি সময় সীমান্তের সেনা মৃত্যুর খবর চাউর হলেও চীন তাদের পক্ষে হতাহত সম্পর্কে মুখ খোলেনি। বিভিন্ন নিউজ এজেন্সি মারফত উপগ্রহ চিত্রে দেখা যাচ্ছে সিসিপি সেখানে একটি বৃহৎ ফৌজের সমাবেশ করেছে।
ফিঙ্গার ৪-৫ অঞ্চল এখনো সংঘর্ষ প্রবণ অংশ হিসেবে চিহ্নিত।
ইতিমধ্যে ১৮৬ খানা পূর্বনির্মিত অস্থায়ী ট্রেন্ড ও সেনা ছাউনি দেখা গিয়েছে সেখানে, চীনে নিয়ন্ত্রণ রেখার ৮ কিলোমিটার ভিতরে এই অবস্থান ভারত আগ্রাসন হিসেবে দেখছে এবং যোগ্য জবাব দিতে নিজেকে প্রস্তুত করছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছে  এই সম্প্রসারণবাদ বন্ধ না হলে চীনকে ভবিষ্যতে তা বিপদের মুখে ফেলবে। জুন মাসের ২৮ তারিখে চীনে থাকা ভারতীয় এম্বাসেডর বিজয় মিস্ত্রী এই সূত্রে বলেন চীনকে বিষয়টি সহজ ভাবে বিচার করে সমঝোতার মাধ্যমে স্বাভাবিক টহলদারির প্যাটার্নে ফিরে আসতে হবে।
২০১৮ সালের এপ্রিলের য়ুহান সামিটে ঠিক করা হয়৷ যে চীন ও ভারতের মধ্যে সীমান্তে কোনো উত্তেজনা সৃষ্টি হলে তারা সরাসরি আক্রমণের পূর্বে নিজেদের পতাকা প্রদর্শন করবে এবং নেগোসিয়েশনের পথে বিষয়ট সামলাবে। কিন্তু এবছরের ঘটনা সেই চুক্তির সরাসরি লঙ্ঘন বলে মত বিশিষ্ট মহলের। ভবিষ্যতে বিবাদী এই দুই বৃহৎ শক্তির সংঘাত বিশ্ব রাজনীতিতে বিরূপ প্রকোপ ফেলতে পারে।

You may also like

Leave a Reply!