সুপারস্টার রজনীকান্ত। দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে সম্মানিত করা হল অভিনয় জগতের দিকপাল সুপারস্টার রজনীকান্তকে। এদিন উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডুর হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন তিনি। এই পুরস্কার গ্রহণ করে তিনি প্রথমেই তা উৎসর্গ করেন নিজের গুরুকে।
এই অনুষ্ঠানটি নয়াদিল্লির বিজ্ঞান ভবনে আয়োজিত হয়েছিল। এটি ছিল ৬৭তম জাতীয় পুরস্কার অনুষ্ঠান। ৬৭তম জাতীয় পুরস্কারের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সুপারস্টার রজনীকান্তের স্ত্রী লতা এবং জামাই ধনুশ, যিনি নিজেও ‘অসুরন’ ছবির জন্য সেরা অভিনেতার বিভাগে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন।
সুপারস্টার রজনীকান্তকে ভিডিওবার্তায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অন্যান্য অভিনেতারাও। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অনুরাগ ঠাকুরও, যিনি মনে করেন ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে রজনীকান্ত একজন ইন্সটিটিউশন।
আরো পড়ুন
দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পাওয়ার পরই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন রজনীকান্ত। তিনি ওই মঞ্চে দাঁড়িয়েই বলেন, যে, এই পুরস্কার তিনি তাঁর গুরু বালাচন্দর স্যরকে উৎসর্গ করছেন। এই পুরস্কারে সম্মানিত হওয়ার পিছনে আসলে তাঁরই মূল অবদান।
তিনি তাঁর পিতাতুল্য দাদা সত্যনারায়ণ রাও গায়কোয়াড়ের কাছেও ঋণী আজ এই জায়গায় এসে পৌছনোর জন্য, একথাও তিনি স্বীকার করেছেন। সত্যনারায়ণ রাও তাঁকে জীবনের মূল্য বুঝিয়েছিলেন এবং আধ্যাত্মিকতার পাঠ ওনার কাছ থেকেই তিনি শিখেছেন। নিজের মানুষদের কথা এদিন তিনি ওই মঞ্চ থেকে বলেন।
এছাড়াও তিনি সমস্ত ছবির পরিচালক, প্রযোজক, সহ অভিনেতা, আমার অনুরাগীরা, সংবাদমাধ্যম এবং অবশ্যই প্রত্যেক তামিলনাড়ুবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ওঁরা না থাকলে আজকের রজনীকান্ত হয়ে ওঠা হত না বলে তিনি মনে করেন। বাস কন্ডাক্টর থেকে সুপারস্টার রজনীকান্ত এই জার্নিতে যাঁরা যাঁরা তাঁর পাশে থেকেছেন তাদের সকলের কাছেই তিনি কৃতজ্ঞ।