একবিংশ শতাব্দীতেও মেয়েদের ভুল বোঝাচ্ছে সমাজ। এবার মেয়েদের উপর হওয়া অত্যাচারের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। জীবনের সব ক্ষেত্রে মেয়েদেরকেই মানিয়ে নিতে হয় কিংবা রাত করে বাড়ি ফিরলে মেয়েরা তো মার খাবেই অথবা স্বামীর রাগই হচ্ছে স্বামীর ভালোবাসা। গায়ে হাত তুলছে! থাপ্পর মারছে! তাতে কি হয়েছে? টাকা পয়সাও দেয়। এই কথাগুলো এখনও সমাজে প্রচলিত। এই কথাগুলোই যেন হয়ে উঠেছে মেয়েদের জীবনের একমাত্র পরিণতি।
শহর থেকে শহরতলি, দেশ হোক বা বিদেশ ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে এই কথাগুলোই প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে মেয়েদেরকে শেখানো হচ্ছে। যার পরিবর্তন হয়নি একবিংশ শতাব্দিতেও। নিয়ম-নীতির চাপে যখন জীবন অস্থির হয়ে ওঠে তখন মেয়েদেরকে আরো একবার বুঝিয়ে দেওয়া হয় এটাই জীবনের সার সত্য। এর বিরুদ্ধে যেন কোন কথা বলা হয়।
পুরুষ মানুষের রাগ বেশি, তাই রেগে গিয়ে হাত তোলে। তাই মেয়ে মানুষকে সাবধানে থাকতে হবে। এই সমীকরণে ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে নারী। আর এতেই বেড়ে চলে গার্হস্থ্য হিংসা। পিতৃতন্ত্রের দাপটে জীবন অতিষ্ঠ নারীর। কিন্তু এই একবিংশ শতাব্দীতেও কি এই বস্তাপচা নিয়ম চলতে থাকবে? তার জন্য বদলের ডাক দিয়েছেন মিথিলা।
কর্ণজোড়ায় বৈঠকে কী কী ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী? দেখে নিন একনজরে
তাঁর দাবি, এইসব কথা আমাদের সমাজে পারিবারিক নির্যাতনকে আরও স্বাভাবিক করে তুলেছে। “আমি এই ধরনের সমস্ত কথা বর্জন করছি” বলেছেন মিথিলা, এবং সমাজের সবাইকে গার্হস্থ্য হিংসা বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দিয়েছেন মিথিলা। এর আগেও তিনি নারী-শিশু পাচার ইত্যাদি বিভিন্ন সমস্যা কে কেন্দ্র করে ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপ টুইটার বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন।