মালদহ থেকে আজ কর্ণজোড়ায় পৌঁছান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই দুই দিনাজপুরের জন্য একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করে প্রশাসনিক বৈঠক শুরু করেন তিনি। দেখে নিনে এই মঞ্চ থেকে কী কী ঘোষণা করলেন তিনি।
* দক্ষিণ দিনাজপুরের আইন শৃঙ্খলার খোঁজ খবর নিয়ে বি এস এফ দের অবাধ প্রবেশের বিষয়টি তুলে ধরেন তিনি। এই ব্যাপারে লোকাল পুলিস এবং বিডিওদের সতর্ক হওয়ার কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
* তাঁতিদের জন্য ৩ বছরের সরকারি অর্ডার।
*কালিয়াগঞ্জে ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাব হবে।
*তৈরি হবে বাংলার নিজস্ব ডেয়ারি।
*দুয়ারে সরকার প্রকল্পে উপকৃত হয়েছেন ৩ কোটি মানুষ।
*জল প্রকল্পে সেরা বাংলা। *মৎসজীবীদের দেওয়া হবে বিশেষ কার্ড।
*শীঘ্রই পুরভোট পুর প্রশাসকদের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি।
*কেন্দ্র টাকা দেয় না, কোভি়ডে সব বন্ধ। সরকারি প্রকল্পের টাকা কোথা থেকে আসবে ভাবতে হবে। কোনও আর্নিং নেই, সব বার্নিং। এসব তো বুঝতে হবে।
* বিধায়করা সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ান। সরকারি প্রকল্পের সুবিধে যাতে তাঁরা পান তা দেখুন। সরকারি কাজের রিপোর্ট সামনে আনতে হবে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ডে প্রচুর খরচ হচ্ছে।
* শিল্পীদের জন্য দেওয়া হবে বিশেষ কার্ড।
* স্কুল, কলেজ ও বিশ্ব বিদ্যালয়ে স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ডের জন্য ক্যাম্প করা যায় কিনা তা দেখা দরকার। ১ জানুয়ারি থেকে ৭ জানুয়ারি স্টুডেন্টেস উইক। স্টুডেন্টস উইকে আরও ২৫ হাজার ছাত্রকে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হবে।
* জানুয়ারির ১ থেকে ১০ ও ২০ থেকে ৩০ তারিখ হবে দুয়ারে সরকার। ঘরে ঘরে পাইপের মাধ্যমে জল পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হবে। জানালেন মুখ্যসচিব।
* দুই জেলার একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস এর তালিকা পড়ে শোনান দুই জেলার আধিকারিকরা।
* মুখ্যমন্ত্রী বলেন, উত্তর দিনাজপুরে ৭০ কোটি ৪৭ লাখ টাকার ১৫টি প্রকল্পের শিলান্যাস হচ্ছে। এর পাশাপাশি ১৬৩ কোটি ৯৮ লাখ টাকা মূল্যের ৩০টি প্রকল্পের উদ্বোধন হবে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ১০৭ কোটি ৩৩ লাখ টাকা মূল্যের ২৩ টি প্রকল্পের শিলান্যাস হয়েছে এবং ১৩৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা মূল্যের ৪২টি প্রকল্পের উদ্বোধন হবে।
* বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের এমআরআই ইউনিটের কাজ শুরু হবে।
* ৪টি সাঁওতালি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে উচ্চ প্রাথমিকের স্বীকৃতি দেওয়া হবে।
আশঙ্কা বাড়িয়ে ওমিক্রনে আক্রান্ত গুজরাট
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, গতবছর করোনার কারণে সামনাসামনি কোন বৈঠক করা সম্ভব হয়নি ভার্চুয়ালি সব বৈঠক হয়েছে। তবে এবার সামনাসামনি বসে বৈঠক করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন তিনি।
জেলাবাসীকে বিজয়া, দীপাবলি, ছটপুজোর শুভেচ্ছা জানাতেও ভোলেননি মুখ্যমন্ত্রী।