আজ সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার। সারাদিন অবিরাম বৃষ্টি পড়ে চলেছে। গতকাল থেকেই ঘনীভূত হচ্ছিল আম্ফান। সরকারের পক্ষ থেকে সতর্কতা জারি করেছিলো, আগে থেকেই উপকূলের মানুষ দের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সব রকম মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত ছিল সরকার।

এই ঝড়ের নামকরণ করে তাইল্যান্ড। এর আগের ঝড় গুলির থেকে এটি অনেক বেশি শক্তিশালী আর অনেক বেশি ক্ষতিকারক। তাই চিন্তাও অনেক বেশি এই ঝড় কে নিয়ে। এরই মধ্যে সব জায়গার মানুষ কে বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে ইলেকট্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বিছিন্ন করে দেওয়া হচ্ছে।
এখন প্রশাসনের কাছে এটি একটি বড়ো চ্যালেঞ্জ কারণ এই সময়ে এমনিতেই করোনা কে নিয়ে সবাই খুব বিভ্রান্ত তার ওপর যদি সাধারন মানুষ বিপদের মধ্যে পড়েন তা হলে তাদের চিকিৎসা করা বা উদ্ধার কাজ আরো কঠিন হয়ে পড়বে।
এরই মধ্যে ঝড়ের দাপটে অনেক জায়গায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পুরোনো বা টালির চালের বাড়ি। তার মধ্যে এখনি খবর পাওয়া গেছে যে হুগলি জেলার শ্রীরামপুর এ ৮ নম্বর ওয়ার্ডে কে এম সা স্ট্রিটের মেলা বাড়ি প্রচণ্ড ঝড়ে ভেঙে পড়েছে। বহু কালের পুরোনো বিখ্যাত মেলা বাড়ি শ্রীরামপুর এর ঐতিহ্য। সেখানকার সকল মানুষ কে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ঝাউতলা কমিউনিটি হলে। একটাই শান্তির খবর যে কোনো মানুষের প্রাণহানী হয় নি। প্রতি বছর শিব রাত্রি থেকে এখানে মেলা শুরু হয় চলে এক মাস পর্যন্ত। বহু দূর দূরান্ত থেকে মানুষ এই মেলা দেখতে আসেন। এই মেলা কে ঘিরে চলে প্রদর্শনী ক্ষুদে ক্ষুদে শিশুরা নিজের হাতে আঁকে। এলাকার প্রশাসন এলাকার ওপরে নজর রেখেছেন যাতে কোনও মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত না হোন।