গতকাল রাতে ভয়ঙ্কর ঘটনার সাক্ষী রইলো বাংলার প্রত্যেক মানুষ। এমন ভয়ঙ্কর ঝড় কেউ কোনোদিন দেখেছে বলে জানা নেই। এই ঝড়ের সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দিঘা উপকূল, উত্তর চব্বিশ পরগনা ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা। প্রায় নব্বই শতাংশ শেষ করে দিয়েছে এই আম্ফান। দিকে দিকে ছড়িয়ে আছে ধংস্বলীলা র নিদর্শন।

হাজার হাজার গাছ পড়ে গিয়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। বহু মানুষের কাঁচা বাড়ি শেষ হয়ে গেছে। দিকে দিকে মানুষ হয়ে পড়েছে দিশেহারা।
খোদ কলকাতা আর বাকি শহরের অবস্থা ও খুব শোচনীয়। কলকাতার বুকে ভেঙে পড়েছে প্রচুর গাছ, পরে গেছে ট্রাফিক লাইট, সারা কলকাতার বুকে নেমে এসেছে অন্ধকার এর ছায়া।
শহরতলির মধ্যে শ্রীরামপুর এর ও অবস্থা খুব শোচনীয়। বিখ্যাত মেলা বাড়ি ভেঙে পড়েছে ঝড়ের দাপটে। বিভিন্ন জায়গায় গাছ পড়ে, জল জমে, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে বেহাল অবস্থা।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এই obstay একেবারে ভেঙে পড়েছেন। তিনি মানুষ কে পাশে থাকার আবেদন জানিয়েছেন, তিনি আরও বলেছেন কিছু সময় লাগবে এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে। সেই সময় মানুষ কে দিতে হবে। গতকাল সারারাত জেগে কন্ট্রোল রুমে বসে কাজ করে গেছেন তিনি ও তার সাথে পুরো প্রশাসন।
সারারাত এই ভয়ঙ্কর ধ্বংসলীলা চালিয়ে আজ ভোরের দিকে বাংলাদেশের দিকে চলে যায় আমফান।
মানুষ আজ পর্যন্ত প্রকৃতির ওপর যে অত্যাচার করে এসেছে তারই প্রতিশোধ হয়তো প্রকৃতি নিলো। হয়তো আরো নেবে তার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।