নিখিল জৈন এবং নুসরাত জাহানের বিচ্ছেদ হয়েছে গতকাল। আদালতের রায় জয়ী হয়েছেন নিখিল জৈন। “অ্যানালমেন্ট অফ ম্যারেজ ” এর মামলায় জিতে গেছেন নিখিল। এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, জন্মদিনের উপহার পেয়ে তিনি এবং তার পরিবারের সকলে খুবই খুশি।
সেই সঙ্গে তিনি ক্ষোভ উগরে দিয়ে জানান, “আমার নাম, আমার রেপুটেশন খারাপ করার অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, সংবাদমাধ্যমের কাছে বলা হয় আমি বাইসেক্সুয়াল বা উভকামী। আমার প্রথম থেকেই ভারতের বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা ছিল। আজ আবারও প্রমাণিত হলো ক্ষমতাসীন হলেই বিচার ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করা যায় না। ”
2019 সালে তুরস্কে বিলাসবহুল বিয়ের আসর বসেছিল নিখিল নুসরাতের। আচার রীতি মেনেই সম্পন্ন হয়েছিল তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান। এরপর তিনি বলেন ওটা বিয়ে ছিল নাকি লিভ ইন এসব নিয়ে আর কিছুই বলতে চাই না।
২০২০ তে নুসরাত-নিখিলের বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। তার কিছুদিন পরেই জানা যায় নুসরাত অন্তঃসত্ত্বা। সেই সন্তানের পিতৃত্ব অস্বীকার করেন নিখিল। অভিনেত্রী সংবাদমাধ্যমকে জানান নিখিলের সঙ্গে তার বিয়ে আইনের চোখে অবৈধ সুতরাং তাদের সম্পর্ককে শুধুমাত্র লিভ ইন বলা যেতে পারে। তাই আলাদা করে ডিভোর্সের কোন প্রশ্ন উঠছে না। কারন দুজনেই ভিন্ন ধর্মের মানুষ বিয়ে করলে স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্ট এর রেজিস্ট্রেশন করা প্রয়োজন। তা করা হয়নি।
যদিও নিখিল এর দাবি, নুসরাতের অনীহার কারণে তাদের বিয়ে রেজিস্ট্রেশন করানো হয়নি। তারপরেই নুসরাত সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন নিখিল উভকামী। সেই সময়ে তাদের আইনি মামলা বিচারাধীন থাকায় এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি নিখিল।
অন্যদিকে যশ দাশগুপ্ত এবং ছেলেকে নিয়ে নতুন করে জীবন শুরু করেছেন নুসরাত জাহান।
আদালতের রায় বেরোনোর পর নিখিলকে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন আপাতত তিনি কাজ নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন।