লাদাখের ওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চীনের সেনাবাহিনীর মধ্যে সোমবার যে প্রাণঘাতী সংঘর্ষ হয়েছে তাতে লোহার রডের উপর পেরেক পোতা হাতে তৈরি এক রকমের অস্ত্র চীন ব্যবহার করেছে বলে ভারত দাবি করেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিবিসির কাছে সেই অস্ত্রের ছবি দিয়ে জানিয়েছে চিন সংঘর্ষে এই ধরনের হাতে তৈরি মারণাস্ত্র দিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে আঘাত করেছে।
আরও পড়ুন : গালওয়ান উপত্যকার ঘটনায় রঙ চড়াচ্ছে ভারত, দাবি চীনের৷
প্রসঙ্গত, দু’দেশের মধ্যে সীমান্তের এই এলাকা যথেষ্ট ভালো ভাবে চিহ্নিত নয়। উপরন্তু গান উপত্যাকার আবহাওয়া অত্যন্ত বৈরী। প্রতিরক্ষা বিশ্লেষণ এই হাতে তৈরি অস্ত্রর ছবি প্রথম টুইটারে দেন। এই অস্ত্র ব্যবহার কে তিনি ‘বর্বরতা’ বলে বর্ণনা করেছেন। প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ সালে চুক্তি হওয়া সই অনুযায়ী বিরোধপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় গোলাগুলি ও বিস্ফোরকের ব্যবহার নিষিদ্ধ হয়। ধন্যবাদ এসময় মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে। ভারতের সংবাদ মাধ্যমে নানান খবর এর মধ্যে একটি খবরে লেখা হয়েছে পর্বতের প্রায় ১৪ হাজার ফুট উচ্চতায় দু’দেশের সৈন্যদের মধ্যে সংঘর্ষের ফলে অনেকেই পা পিছলে খরস্রোতা নদীতে পড়ে গেছেন,যেখানে শৈল প্রবাহের তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে ছিল।
আরও পড়ুন : ভারত চীন সীমান্ত সমস্যা নিয়ে মধ্যস্থতার কোনো পরিকল্পনা নেই – ডোনাল্ড ট্রাম্প
এদিকে এই ঘটনার পর নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সৈন্য সংখ্যা বাড়াচ্ছে চিন। তা দেখে ভারত সর্তকতা জারি করেছে বায়ুসেনা ও নৌ বাহিনীতে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর বিভিন্ন জায়গায় সেনার অবস্থান আরো শক্তিশালী করা হচ্ছে। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যেকোনো ধরনের কাজের জন্য বহু যুদ্ধজাহাজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেনাবাহিনীর এক আধিকারিক জানিয়েছেন দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা সুরক্ষিত রাখতে এবং জাতীয় স্বার্থের প্রয়োজনে ভারত সঠিক সময় সঠিক পদক্ষেপ নেবে। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি বলেন,”ভারত শান্তি চায় কিন্তু কোনোরকম প্ররোচনামূলক কাজের যোগ্য জবাব দেওয়ার ক্ষমতা ভারতে রাখে।” চিনের নাম না করেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বীর শহীদ জাওয়ানদের জন্য দেশ গর্বিত, ওরা মারতে মারতে শহিদ হয়েছেন”।