Home দেশ ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

by banganews

যুদ্ধ-বিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে আটকে পড়া ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনতে বিলম্বের বিষয়ে কেন্দ্রের কাছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্রমাগত আবেদন করেছেন। এই আবেদন বাংলায় বিজেপি নেতাদের জন্য রাজনৈতিক ধাক্কা তৈরি করেছে।

বাংলার বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি এবং লোকসভা সাংসদ দিলীপ ঘোষ এই ঘটনাকে রাজনীতিকরণের নিরর্থক প্রচেষ্টা বলে ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি ইউক্রেন থেকে আটকে পড়া নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার জন্য এতটাই মরিয়া হন, তবে তাঁর নিজেরই যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে যাওয়া উচিত। তিনি আরও বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস আশা করছে যে, ইউক্রেনে আরও বেশি লোক মারা গেলে তারা রাস্তায় নামবে। দুর্ভাগ্যবশত, তাঁরা সুযোগ পায়নি কারণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সফলভাবে ইউক্রেন থেকে আটকে পড়া ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনতে পেরেছেন।”

দিলীপ ঘোষের এই দাবি যদিও মানেননি ইউক্রেন থেকে আগত ভারতীয়রা। তাঁদের বক্তব্য, কেন্দ্র যে “ইভাকুয়েশন” শব্দটি ব্যবহার করেছে, তা মিথ্যা, কারণ ছাত্রদের নিজেদের ইউক্রেন থেকে অন্য দেশে চলে যেতে হয়েছিল, ভারতীয় দূতাবাস শুধুই নীরব দর্শক হয়েই ছিল। ভারতে ফিরে আসা এক ছাত্র জানিয়েছেন, “আমরা ইউক্রেনের সীমান্ত অতিক্রম করে হাঙ্গেরিতে যাওয়ার পরেই সাহায্য পেয়েছি। এর আগে কোনো সাহায্য ছিল না। আমরা যা করেছি, আমরা নিজেরাই করেছি। আমরা দশজন মিলে একটা দল তৈরি করে একটা ট্রেনে উঠেছিলাম। ট্রেনটি ভর্তি ছিল।”

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই যুদ্ধ-সংঘাতের দেশ থেকে ভারতীয়দের উদ্ধারের ধীরগতি নিয়ে কেন্দ্রকে প্রশ্ন করেছেন বারবার। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীও এই প্রক্রিয়াটিকে ত্বরান্বিত করার জন্য পর্যাপ্ত বিমানের ব্যবস্থা করার জন্যেও কেন্দ্রকে অনুরোধ করেছেন। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী টুইট করে লেখেন, “আমি ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয় ছাত্রদের জীবন নিয়ে খুব চিন্তিত। জীবন অনেক মূল্যবান। তাদের ফিরিয়ে আনতে এত সময় লাগছে কেন? কাজগুলো আগে করা হয়নি কেন?” “প্রধানমন্ত্রী তিন মাস আগে এই ঘটনা সম্পর্কে অবগত ছিলেন। কিন্তু তারপরও শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। আমরা শিক্ষার্থীদের জীবন নিয়ে খেলা করতে পারি না। এই সব করতে কয়েকটা ফোন কল লাগে। রাজনৈতিক সমাবেশ থেকে কত সময় লাগবে? ছাত্রদের জীবন রাজনীতির চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ,” তিনি আরও যোগ করেন।

 

কেষ্ট গড়ে সবুজ ঝড়! বীরভূমের ৯৩টি ওয়ার্ডের ৯২টিই তৃণমূলের

পশ্চিমবঙ্গ সরকার ইতিমধ্যেই ইউক্রেনে আটকে পড়া রাজ্যের ছাত্র এবং লোকদের সাহায্য করার জন্য ২৫ ফেব্রুয়ারি একটি বিশেষ কন্ট্রোল রুম স্থাপন করেছিল। রাজ্য সরকার ইউক্রেনে আটকে পড়া ২০০ জন বাংলার ছাত্রদের তালিকাও দিয়েছিল এবং দিল্লি ও মুম্বইয়ের বিমানবন্দর থেকে তাদের রাজ্যে ফেরার ব্যবস্থাও করেছিল।

You may also like

Leave a Reply!