Home ফিচার Raymond’s এর প্রতিষ্ঠাতা একসময় ছিলেন ১২ হাজার কোটি টাকার মালিক, আজ তাকে থাকতে হচ্ছে ভাড়া বাড়িতে!পড়ুন এক করুণ কাহিনী

Raymond’s এর প্রতিষ্ঠাতা একসময় ছিলেন ১২ হাজার কোটি টাকার মালিক, আজ তাকে থাকতে হচ্ছে ভাড়া বাড়িতে!পড়ুন এক করুণ কাহিনী

by banganews

 

কর্মই হয়ে উঠুক তোমার পরিচয়৷ ছোটবেলায় অভিভাবকেরা এই নীতিশিক্ষা দিয়ে থাকেন৷ কিন্তু বাস্তবিক জীবনে ক’জনই বা সেই নীতি মেনে চলতে পারেন জীবনে৷ তবে কেউ কেউ অবশ্যই পারেন৷ আর তাই তাঁর ব্যান্ড দেশবিখ্যাত হলেও তাঁর নাম সেভাবে জানা ছিল না কারো৷ তিনি বিজয়পত সিঙঘানিয়া৷ নামটা অচেনা কিন্তু তার ব্যান্ড এর নাম সকলের জানা রেমণ্ড।

 

ভারতের প্রতিষ্ঠিত নানান কাপড়ের ব্র্যান্ডের মধ্যে রেমণ্ড ব্র্যান্ডের নাম বিশেষ উল্লেখযোগ্য। এই রেমণ্ড গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন বিজয়পত সিঙ্ঘানিয়া। তিনি সেভাবে কোনওদিনই লাইমলাইটে আসতে পছন্দ করেন নি। তবে সকলের কাছে তিনি একসময় চর্চার বিষয় ছিলেন বই কি।

১৯২৫ সালে রেমণ্ড কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন বিজয়পত সিঙ্ঘানিয়া। এরপর ১৯৫৮ সালে মুম্বইতে তৈরি হয় রেমণ্ডের প্রথম রিটেল শোরুম। গোটা ভারত তো বটেই, বিদেশেও এই রেমণ্ড কোম্পানির শাখা খুলেছিলেন তিনি। এর জন্য ছিল তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রম। ২০০৬ সালে পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত হন বিজয়পত সিঙ্ঘানিয়া। তবে এবার তিনি ফের চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছেন।

বিজয়পত সিংহানিয়া এক সাক্ষাৎকারে এক সময় বলেন যে, জীবিত অবস্থায় সন্তানদের সম্পত্তির ভাগ দেওয়া কখনই উচিত নয়। তিনি আরও বলেন যে তিনি জীবনে সবচেয়ে বড় পাঠ শিখেছেন। রেমন্ড গ্রুপের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তাঁর আত্মজীবনী, ‘অ্যান ইনকমপ্লিট লাইফ’ প্রকাশ করেছেন।

নিজের এই বইতে তিনি তাঁর জীবনের সঙ্গে জড়িত নানান অজানা তথ্য প্রকাশ করেছেন। তাঁর এই আত্মজীবনীতে উঠে এসেছে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধিতার কথা। এছাড়াও নিজের শৈশবের দিনগুলির নানান স্মৃতিও তিনি তুলে ধরেছেন তাঁর এই বইটির মাধ্যমে।

নিজের এই আত্মজীবনীতে তাঁর নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে তিনি বলেছেন, “অভিজ্ঞতা থেকে আমি সবচেয়ে বড় শিক্ষা পেয়েছি যে বেঁচে থাকাকালীন মাতা-পিতার সম্পত্তি সন্তানদের দেওয়ার সময় সর্তকতা অবলম্বন করা উচিত। মাতা পিতার সম্পত্তি অবশ্যই তার সন্তানরা প্রাপ্য, তবে এটিই তাদের মৃত্যুর পরেই দেওয়া উচিত। আমি চাই না কোন অভিভাবককে এমন যন্ত্রণা সহ্য করতে হয় যা আমি প্রত্যহ সহ্য করি”।

এখানেই শেষ নয়, বিজয়পথ সিংহানিয়া আরও জানান, “আমাকে আমারই অফিসে যেতে বাধা দেওয়া হয়েছিল যেখানে আমার গুরুত্বপূর্ণ নথি পত্র এবং অন্যান্য সামগ্রী গুলো ছিল। শুধু তাই নয় মুম্বাই এবং লন্ডনে আমাকে আমার গাড়ি ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছিল এবং আমার সচিবের সাথে যোগাযোগ করতে বারণ করা হয়েছিল। রেমন্ড কর্মচারীদের এমন কঠোর আদেশ দেওয়া হয়েছিল যে, তারা যেন আমার সঙ্গে কথা না বলে ও আমার অফিসে না আসে”।

বিজয়পত সিঙ্ঘানিয়া একসময় ১২ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক ছিলেন। ছিলেন দেশের অন্যতম বড় শিল্পপতি। মুকেশ আম্বানির চেয়েও বড় বাড়িতে বাস করা বিজয়পত সিঙ্ঘানিয়ার বর্তমানে জায়গা হয়েছে এক ভাড়া বাড়িতে।

২০১৫ সালে তিনি নিজের সমস্ত সম্পত্তি নিজের ছেলে গৌতম সিঙ্ঘানিয়ার নামে করে দেন। আর এরপরই তাঁর ছেলে তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। নিজের এই কষ্টের কথা নিজেই শেয়ার করেছেন বিজয়পত সিঙ্ঘানিয়া। তাঁর ছেলে তাঁর থেকে গাড়িও কেড়ে নিয়েছেন। এক প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে যে বিজয়পত সিঙ্ঘানিয়া বর্তমানে দক্ষিণ মুম্বইয়ের একটি ভাড়া বাড়িতে থাকেন।

You may also like

Leave a Reply!