Home ফিচার একই গাছে দশ রকম ফল তৈরি করলেন এই যুবক

একই গাছে দশ রকম ফল তৈরি করলেন এই যুবক

by banganews

একটাই গাছ। তার এক ডালে আম, তো আরেক ডালে ঝুলছে আনারস। এক ডালে কলা, তো অন্য  ডালে কাঁঠাল। ভাবছেন কী সব আবোল তাবোল লেখা?  কিন্তু এমনই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন অস্ট্রেলিয়ার এক ব্যক্তি। একটাই গাছে তিনি দশ রকম ফল ফলিয়ে  ইতিমধ্যে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়ার বাসিন্দা হুসাম সরাফ।

২০০৯ সালে ইরাক ছেড়ে অস্ট্রেলিয়ায় আসেন হুসাম। ছোট থেকেই বাগান করার শখ৷  প্রথম চেষ্টায় কলম করে একটি গাছেই তিনি ফলিয়েছিলেন পাঁচ রকমের ফল। তারপরের লক্ষ্য ছিল ১০টি ফল। এবারেও তিনি সফল হলেন৷

হোয়াইট নেকটারিন বা হোয়াইট সাটিন নামক পিচ জাতীয় ফলটি কলাম করে ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে বসান হুসাম।

২০২০ সালের মে মাসে ব্লাড প্লাম,  অক্টোবরে পিচকট ও ইয়োলো প্লাম কলম করে বসান। নভেম্বরে হয় হোয়াইট পিচ,
২০২১-এর এপ্রিলে অ্যাপ্রিকট আর অক্টোবরে কলম করেন আমন্ড, চেরি ও ইয়োলো নেকটারিন।

গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে তাঁর এই কর্মকাণ্ডের খবর জানালেও ভেবেছিলেন, খারিজ হয়ে যাবে তাঁর আবেদনপত্র।
তবে শেষ পর্যন্ত গিনেস বুক ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে স্থান পেয়েছে হুসামের এই অসামান্য কীর্তি।


বছর পাঁচেক আগে নিজের বাগান জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেন হুসাম। গাছপালা-প্রিয় মানুষ আসতেন, পরামর্শ দিতেন৷ হুসাম তাঁদের  নিজের গাছের ফল খাওয়াতেন৷  হুসামের কাছে এই বাগান একটা যৌথ পরিবার এর মত৷  যেখানে নানা ধরনের, নানা সংস্কৃতির মানুষের সঙ্গে আদানপ্রদান চলে।

কলকাতায় তৈরি হল সোনার মাস্ক
হুসামের বানানো এই বহুফলি গাছ আসলে  এক সম্প্রীতির বৃক্ষ। যেখানে বহু ধর্ম, বহু সংস্কৃতি, বহু ঐতিহ্য এসে মিলেছে  ফলের নানারকম রং, স্বাদ, গন্ধের মাঝে৷ তাঁর কাছে বাগান আসলে এক মিলনক্ষেত্র।  যেখানে গাছেদের সঙ্গে গাছেদের, মানুষের সঙ্গে মানুষকে মিলিয়ে দিতে ভালবাসেন হুসাম।

You may also like

Leave a Reply!