Home বঙ্গ মীরজাফর তকমায় ক্ষুব্ধ কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী

মীরজাফর তকমায় ক্ষুব্ধ কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী

by banganews

বঙ্গ নিউস, ১ ডিসেম্বর, ২০২১ঃ করোনা সংক্রমণের জেরে বাড়ি থেকে বেরোনো তাঁর এক প্রকার বন্ধ। কাঁথিতে দলীয় কর্মীসভায় যেতে পারেননি। ছেলেদের বারণ মেনে তিনি আপাতত ভ্যাকসিনের অপেক্ষায়। ভ্যাকসিন নেওয়া হয়ে গেলেই দিল্লি যাবেন। বাড়ির অদূরেই মাইক লাগিয়ে তৃণমূলের জনসভা হচ্ছিল৷ সেখান থেকে যেভাবে নানা বিশেষণে তাঁকে আক্রমণাত্মক কথা বলা হয়েছে তাতে ব্যথিত তৃণমূলের প্রবীণ নেতা সাংসদ শিশির অধিকারী। ভারাক্রান্ত হৃদয়ে তিনি বলেন, “আমি যখন তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলাম অবিভক্ত মেদিনীপুরে একটাও নির্বাচিত পদ ছিল না। আমি যোগ দেওয়ার পর দলে দলে সকলে যোগ দিল। আর আমি এখন হলাম মিরজাফর! আর অধিকারীরা হল বেইমান! বাহ্!’’

আরও পড়ুন শুভেন্দুর সভায় বিজেপিতে যোগ ভাই সৌম্যেন্দুর

শিশির অধিকারী জানিয়েছেন তিনি এখনও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষেই রয়েছেন৷ সেইসঙ্গে তিনি ফিরহাদ হাকিম এবং সৌগত রায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন৷ শিশির অধিকারী বলেন, ” ববি, সৌগত রায় এসে কুৎসিত ভাষায় গালিগালাজ করে বক্তৃতা দিয়েছে। সৌগতবাবু এই শহরে দাঁড়িয়ে আমার আর আমার পরিবারের নামে যা বলেছেন, তা কেউ কোনওদিন বলেনি! এত জঘন্য ভাষায় আমার পরিবারকে আক্রমণ করা হল!’’

খানিকটা শ্লেষের ভঙ্গিতে তিনি আরও বলেন, ‘জেলা সভাপতি এখনও আছি কি না জানি না! কিছুই জানি না! না দিস সাইড, না দ্যাট সাইড।”

পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে সরানো হয়েছে সৌমেন্দু অধিকারীকে৷ তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে শিশির অধিকারী অনুযোগ এর সুরে বলেন, “আমার ছোট ছেলে সৌম্যেন্দু তো অধিকারী বাড়িতে নেত্রীর সবচেয়ে বড় সমর্থক ছিল। কেউ নেত্রীর নামে দুটো কথা বললে টেবিলের উপর উঠে দাঁড়িয়ে চিৎকার করত। পারলে চড়চাপড়ও লাগিয়ে দিত। ওকে যে ভাবে সরানো হল, সেটা কি গণতান্ত্রিক পদ্ধতি মেনে? ”

দুঃখ, বেদনা, অনুযোগের মধ্যে একপ্রকার হুঁশিয়ারি দিয়ে শিশির অধিকারী বলেন, “এতো অপমান, এতো আক্রমণের জবাব দেবেন মেদিনীপুরের মানুষ।”

You may also like

Leave a Reply!