Home দেশ আনলকিং প্রক্রিয়া কি অভিশাপ হতে চলেছে ? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

আনলকিং প্রক্রিয়া কি অভিশাপ হতে চলেছে ? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

by banganews

আস্তে আস্তে সব বাধানিষেধ তুলে লকডাউনের থেকে আনলক এর প্রক্রিয়ায় যাচ্ছে রাজ্য। ধাপে ধাপে এই আনলক কার্যকরী করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। যদিও কন্টেইনমেন্ট জোন এ 30 শে জুন অবধি চলবে লকডাউন । এই সম্পর্কেও স্পষ্ট ঘোষণা করা হয়েছে।

আনলক এর প্রথম পর্যায়ে রেস্তোরাঁ শপিং মল এবং হোটেল খুলে দেওয়া হবে বলে জানান হয়েছে। দেশের চিকিৎসক এবং শিক্ষাকর্মীরা এতে যথেষ্ট চিন্তিত কারণ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে কমিউনিটি স্প্রেড। ডিসেম্বরের মধ্যেই সংক্রমণ বেড়ে চরমে উঠবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও মৃত্যুর হার বিশেষ বাড়বে না বলেই মনে করছেন তারা। তবে চিকিৎসা ব্যবস্থার উপরে আসতে পারে অনেকটা চাপ তাই সেই পরিকাঠামো এখন থেকেই তৈরি করা দরকার বলে মনে করছেন সকলেই। পরবর্তী সময়ে আসতে পারে হোম কন্টেইনমেন্ট এর কথাও। বাড়িতে বসে থাকলেও ব্যবহার করতে হতে পারে মাস্ক। এভাবেও সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।

আরো পড়ুন ভারতে বাড়তে চলেছে করোনা সংক্রমণ

বেজিং এ ইতিমধ্যেই ঘরের ভিতরে মাস্ক পরে পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু হয়ে গিয়েছে এবং এর সাহায্যে অনেকটাই রক্ষা পাওয়া যাবে করোনার হাত থেকে বলে ভাবছেন চিকিৎসক রা। অনবরত হাত ধোয়া এবং গ্লাভসের ব্যবহারও পরবর্তী সময়ে হয়ে উঠবে আবশ্যক। অন্তত ভবিষ্যতের পৃথিবী এরকম হতে পারে বলে জানিয়েছেন তারা। সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ অবস্থায় আছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। লকডাউনের পরে আনলক অবস্থাতেও এগুলো মানার খুব প্রয়োজন। না হলে সংক্রমণ ছড়িয়ে যেতে পারে খুব দ্রুত।

আরো পড়ুন ধাপে ধাপে তিনটি পর্যায়ে আনলক প্রক্রিয়া কার্যকরী হবে জানা যাচ্ছে

সবসময় মনে রাখতে হবে মানুষদের যে এই আনলক অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য । কোনভাবেই যেন তারা না ভোলেন যে তারা এক আশঙ্কাজনক পরিস্থিতির মধ্যে আছেন।ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড নিউরো সায়েন্সেস (নিমহানস)–‌এর নিউরোভাইরোলজি বিভাগের প্রধান ও কর্ণাটকের কোভিড–‌১৯ হেলথ টাস্ক ফোর্সের নোডাল অফিসার ভি রবি জানিয়েছেন পরবর্তী সময়ে যারা আক্রান্ত হবেন তারা অনেকেই জানবেন না তারা আক্রান্ত। সেই ব্যাপারটা মাথায় রাখতে হবে। সংক্রমণ বাড়লেও করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা বিশেষ বাড়বে না বলেই জানিয়েছেন ভি রবি। তিনি জানিয়েছেন মৃত্যুর হার ৩ থেকে ৪ শতাংশের মধ্যেই থাকবে। গুজরাটে মৃত্যুর হার ৬ শতাংশ হতে পারে।‌‌‌ তবে সমস্ত বাধানিষেধ মানলে যে এই ভবিষ্যৎ ও পাল্টে যেতে পারে সেই সম্পর্কে আশাবাদী সমস্ত চিকিৎসক রাই।

You may also like

Leave a Reply!