কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত রোগীর প্রয়োজনীয় ওষুধ জোগাড় করতে হবে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসা কেন্দ্রকে। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে মুমূর্ষু রোগীর আত্মীয় ও পরিবারের লোকজনের কাছ থেকে অমানবিকভাবে মোটা অংকের মুনাফা করছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। অত্যাবশকীয় এসব ওষুধের কালোবাজারির হাত থেকে রোগীর পরিবারকে রক্ষা করতেই এবার নয়া নির্দেশিকা জারি করল রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তর। ওষুধ সংগ্রহের দায়িত্ব কোনোভাবেই চাপানো যাবে না রোগীর পরিবার বা আত্মীয়-স্বজনের ওপর।
আরও পড়ুন : প্রকাশিত হল মাধ্যমিকের ফল
নতুন নির্দেশ ইতিমধ্যে লিখিতভাবে পাঠানো হয়েছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের প্রধান এছাড়াও রাজ্যের সমস্ত কোভিড হাসপাতালের সুপারিটেন্ডেন্টদের কাছে।
রাজ্যসরকারের বক্তব্য এক্ষেত্রে স্পষ্ট। এতে বলা হয়েছে, প্রোটোকল মেনে যেসব ওষুধ কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় ব্যবহার করা আবশ্যক তা জোগাড় করার সম্পূর্ণ দায়িত্ব রোগী যে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। কোনও ভাবেই রোগীর পরিবারের কাঁধে ওষুধ জোগাড় করার বোঝা চাপানো যাবে না। পরিবারের কেউ করোনা আক্রান্ত হলে বাড়ির সকলের নমুনা পরীক্ষা করা এবং রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত আইসোলেশনে থাকাটাই দস্তুর। এক্ষেত্রে ওষুধ জোগাড় করতে গেলে তাদের থেকে নতুন সংক্রমণের আশঙ্কা, এমনকি অনেক সময় ওষুধের দোকানের মালিকরা করোনা আক্রান্তের পরিবারের লোকেদের দোকানে প্রবেশ করতেও বাধা দিচ্ছেন।
একই পরিবারের একাধিক সদস্য করোনায় সংক্রমিত এরকম উদাহারণ অসংখ্য, তাদের ক্ষেত্রে ওষুধ জোগাড় করা আরও সমস্যার। স্বাস্থ্যদপ্তরের এই নির্দেশে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওষুধ জোগাড় করে দিলে অনেকটা আশ্বস্ত হবেন রোগী পরিবারের সদস্যরা।
এই নির্দেশিকা সঠিকভাবে কার্যকর করতে পারলে স্বাস্থ্য পরিষেবা আরো মসৃণ হবে বলে অনুমান অনেকের।