২১ এর আগে শেষ একুশ। ধর্মতলায় জনসভা নেই, মেয়ো রোডে যানজট নেই, হাজরা মোড়ে দলের ক্যাম্প অফিস নেই। কোভিড ১৯ প্যান্ডেমিকের কারণে এবছের ২১ শে জুলাই পালিত হল ডিজিটাল মাধ্যমে। দলনেত্রীর দাবি অনুযায়ী আগের থেকে যা অনেকটাই শক্তিশালী। তাঁর বার্তা পৌঁছে গেছে প্রায় ৫০ লাখ মানুষের কাছে। যত মানুষের কাছেই পৌঁছাক না কেন ভার্চুয়াল সভাই আগামী কয়েক মাসের বা বছরের ভবিষ্যত সে বিষয়ের সন্দেহ নেই।
আজকের সভায় মূলত তিনটি বিষয়ের উপরের বক্তব্য রেখেছেন মমতা। প্রথমত সাধারণ মানুষের কাছে বিগত বছরগুলিতে রাজ্য সরকার কী করেছে সে বিষয়ে খতিয়ান তুলে ধরলেন। রাজ্য সরকারের তরফে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী বার্ধক্যভাতা সহ একাধিক প্রকল্পে বাংলার কত মানুষ উপকৃত তা তুলে ধরেন। পাশাপাশি রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য কী কী সুবিধা দেওয়া হয়েছে তার উল্লেখ করেন। স্পষ্ট জানিয়ে দেন কোভিডের জন্য অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়লেও কোনও রাজ্য সরকারি কর্মীর বেতন কাটা হয়নি।
আরও পড়ুন অক্সফোর্ডের আমন্ত্রণ স্বীকার মমতার, যাচ্ছে তাঁর বইও
দ্বিতীয়ত, BJP কে তীব্র আক্রমণ। টাকা দিয়ে ভোট কেন থেকে শুরু করে খুনের রাজনীতি করার অভিযোগ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। হেমতাবাাদের BJP বিধায়কের মৃত্যুর ঘটনায় সেই দলেরই নেতাকর্মীদের কাঠগড়ায় তোলেন তিনি। আগের মতোই দাঙ্গার রাজনীতি করার অভিযোগও তোলেন। এদিকে নাম না করে BJP র নেতাদের গুলি করে দেওয়া সহ বিভিন্ন বক্তৃতার সমালোচনাও করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “বাংলাকে গুজরাত চালাবে না”। তিনি আরও বলেন, “একটা ঘটনা ঘটলেই গাড়িগুলো জ্বালিয়ে দিচ্ছে। রাস্তায় বসে পড়ছে। যেন ওর রাস্তা। যেন দিল্লি থেকে এসে রাস্তাগুলো বানিয়ে দিয়েছে”। উত্তপ্রদেশে ৮ পুলিশকর্মীর মৃত্যুর ঘটনাকেও তুলে ধরে মমতার দাবি তাঁদের এনকাউন্টার করে খুন করা হয়েছে। একইসঙ্গে একুশের মঞ্চ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তৃণমূল নেত্রী। বলেন, “MP ল্যাডের টাকা বন্ধ করা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বেতন কাটা হচ্ছে। কোভিডের নাম করে কর্মীদের DA ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে”।
তৃতীয়ত, ক্ষমতায় এলে আগামীদিনে রাজ্যের মানুষের জন্য কী কী করা হবে তার একটা আউটলাইনও ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ঘোষণা, ক্ষমতায় এলে বাংলার মানুষের জন্য সারাজীবন রেশন ফ্রি করা হবে। স্বাস্থ্য ও শিক্ষাও পুরোপুরি বিনামূল্যে পাওয়া যাবে এরাজ্যে।
২১ এর আগে একুশ যথেষ্ট তাপর্যপূর্ণ বলে মন্তব্য করছে রাজনৈতিক মহল। তাদের বক্তব্য, লোকসভা ভোটে BJP ১৮টি আসন নিজেদের কব্জায় আনতে পারলেও বিধানসভা ভোটে তা কতটা ধরে রাখতে পারবে তা নিয়ে দলের মধ্যেই সংসয়। কারণ হিসেবে তাঁরা মূলত দুটি কারণ তুলে ধরছেন। প্রথমত দলের সাংগঠনিক ক্ষমতার সঠিক ব্যবহার না করা। প্রকাশ্যে অনেকে মুখ না খুললেও BJP র অনেক নেতা নেত্রীও স্বীকার করেছেন, ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। যা নিয়ে চিন্তিত BJP র অনেক প্রথম সারির নেতা। অনেক নিচু স্তরের নেতাও এবিষয়ে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তাঁদের অনেকের অভিযোগ, দলের মধ্যে স্বেচ্ছাচার চলছে।
দ্বিতীয়ত, এখনও সেরকম মুখ্যমন্ত্রী মুখ হিসেবে কাউকে তুলে ধরতে পারেনি BJP। দিলীপ ঘোষের নাম উঠে এলেও তাঁকে আদৌ
২১ এর আগে শেষ একুশ। ধর্মতলায় জনসভা নেই, মেয়ো রোডে যানজট নেই, হাজরা মোড়ে দলের ক্যাম্প অফিস নেই। কোভিড ১৯ প্যান্ডেমিকের কারণে এবছের ২১ শে জুলাই পালিত হল ডিজিটাল মাধ্যমে। দলনেত্রীর দাবি অনুযায়ী আগের থেকে যা অনেকটাই শক্তিশালী। তাঁর বার্তা পৌঁছে গেছে প্রায় ৫০ লাখ মানুষের কাছে। যত মানুষের কাছেই পৌঁছাক না কেন ভার্চুয়াল সভাই আগামী কয়েক মাসের বা বছরের ভবিষ্যত সে বিষয়ের সন্দেহ নেই।
আরও পড়ুন সুরক্ষাবিধি মেনেই একুশে জুলাই শহীদদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন তৃণমূল কংগ্রেসের
আজকের সভায় মূলত তিনটি বিষয়ের উপরের বক্তব্য রেখেছেন মমতা। প্রথমত সাধারণ মানুষের কাছে বিগত বছরগুলিতে রাজ্যসরকার কী করেছে সে বিষয়ে খতিয়ান তুলে ধরলেন। রাজ্য সরকারের তরফে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী বার্ধক্যভাতা সহ একাধিক প্রকল্পে বাংলার কত মানুষ উপকৃত তা তুলে ধরেন। পাশাপাশি রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য কী কী সুবিধা দেওয়া হয়েছে তার উল্লেখ করেন। স্পষ্ট জানিয়ে দেন কোভিডের জন্য অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়লেও কোনও রাজ্য সরকারি কর্মীর বেতন কাটা হয়নি।
দ্বিতীয়ত, BJP কে তীব্র আক্রমণ। টাকা দিয়ে ভোট কেন থেকে শুরু করে খুনের রাজনীতি করার অভিযোগ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। হেমতাবাাদের BJP বিধায়কের মৃত্যুর ঘটনায় সেই দলেরই নেতাকর্মীদের কাঠগড়ায় তোলেন তিনি। আগের মতোই দাঙ্গার রাজনীতি করার অভিযোগও তোলেন। এদিকে নাম না করে BJP র নেতাদের গুলি করে দেওয়া সহ বিভিন্ন বক্তৃতার সমালোচনাও করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “বাংলাকে গুজরাত চালাবে না”। তিনি আরও বলেন, “একটা ঘটনা ঘটলেই গাড়িগুলো জ্বালিয়ে দিচ্ছে। রাস্তায় বসে পড়ছে। যেন ওর রাস্তা। যেন দিল্লি থেকে এসে রাস্তাগুলো বানিয়ে দিয়েছে”। উত্তপ্রদেশে ৮ পুলিশকর্মীর মৃত্যুর ঘটনাকেও তুলে ধরে মমতার দাবি তাঁদের এনকাউন্টার করে খুন করা হয়েছে। একইসঙ্গে একুশের মঞ্চ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তৃণমূল নেত্রী। বলেন, “MP ল্যাডের টাকা বন্ধ করা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরাকরী কর্মীদের বেতন কাটা হচ্ছে। কোভিডের নাম করে কর্মীদের DA ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে”।
তৃতীয়ত, ক্ষমতায় এলে আগামীদিনে রাজ্যের মানুষের জন্য কী কী করা হবে তার একটা আউটলাইনও ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ঘোষণা, ক্ষমতায় এলে বাংলার মানুষের জন্য সারাজীবন রেশন ফ্রি করা হবে। স্বাস্থ্য ও শিক্ষাও পুরোপুরি বিনামূল্যে পাওয়া যাবে এরাজ্যে।
২১ এর আগে একুশ যথেষ্ট তাপর্যপূর্ণ বলে মন্তব্য করছে রাজনৈতিক মহল। তাদের বক্তব্য, লোকসভা ভোটে BJP ১৮টি আসন নিজেদের কব্জায় আনতে পারলেও বিধানসভা ভোটে তা কতটা ধরে রাখতে পারবে তা নিয়ে দলের মধ্যেই সংসয়। কারণ হিসেবে তাঁরা মূলত দুটি কারণ তুলে ধরছেন। প্রথমত দলের সাংগঠনিক ক্ষমতার সঠিক ব্যবহার না করা। প্রকাশ্যে অনেকে মুখ না খুললেও BJP র অনেক নেতা নেত্রীও স্বীকার করেছেন, ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। যা নিয়ে চিন্তিত BJP র অনেক প্রথম সারির নেতা। অনেক নিচু স্তরের নেতাও এবিষয়ে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তাঁদের অনেকের অভিযোগ, দলের মধ্যে স্বেচ্ছাচার চলছে।
দ্বিতীয়ত, এখনও সেরকম মুখ্যমন্ত্রী মুখ হিসেবে কাউকে তুলে ধরতে পারেনি BJP। দিলীপ ঘোষের নাম উঠে এলেও তাঁকে আদেউ করা করা হবে কিনা সেবিষয়ে রাজনৈতিক মহল সন্দেহ প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন করোনা সংক্রমণ রুখতে যথেষ্ট নয় N95 মাস্ক
তবে সবকিছু মিলিয়ে ২১ এর আগে একুশ যে শুধুই শহিদ দিবস ছিল না তা বুঝিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আগামী বিধানসভা ভোটের ডঙ্কাও একুশের মঞ্চ থেকে বাজিয়ে দিলেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। করা করা হবে কিনা সেবিষয়ে রাজনৈতিক মহল সন্দেহ প্রকাশ করেছে।
তবে সবকিছু মিলিয়ে ২১ এর আগে একুশ যে শুধুই শহিদ দিবস ছিল না তা বুঝিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আগামী বিধানসভা ভোটের ডঙ্কাও একুশের মঞ্চ থেকে বাজিয়ে দিলেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।