ভারত-চীন সংঘর্ষে সাময়িক শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও সীমান্তে প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে ভরসা করে সেনা অপসারণে তৎপরতা দেখাচ্ছে না কেউই। এরইমধ্যে ভারতে আসতে চলেছে অত্যাধুনিক রাফাল যুদ্ধবিমান। এই প্রযুক্তি ভারতীয় বিমানবাহিনীর মুকুটে অন্যতম বিশেষ পালক হবে বলে বিশ্বাস অনেকের। এই যুদ্ধবিমান কেনা নিয়ে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে কেন্দ্র সরকারকে বারবার কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিল বিরোধীরা।
অবশেষে সকল বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে আগামী ২৯ শে জুলাই ভারতের বিমান বাহিনীতে যুক্ত হবে রাফাল যুদ্ধবিমানের প্রথম ব্যাচটি। নয়াদিল্লি মারফত জানানো হয়েছে বিমানবাহিনীতে রাফাল জেটের অন্তর্ভুক্তি ভারতের সমরশক্তিকে বহুগুণ বৃদ্ধি করবে। এদিন ৫ টি রাফাল ডাইমেনশন ব্যাচ অফ এস বা সংক্ষেপে রাফাল ফাইটার জেট ফ্রান্স থেকে রওনা দিয়েছে ভারতের উদ্দেশে।
আরও পড়ুন : দৈনিক ১০ লক্ষ টেস্ট, কলকাতা-সহ তিন শহরে নতুন তিনটি ল্যাব উদ্বোধন করবেন মোদী
জানা যাচ্ছে রাফাল এয়ারক্রাফট, হরিয়ানার বায়ু সেনা ঘাঁটি আম্বালাতে আসতে সময় নেবে মাত্র দু’দিন। এবং বুধবার, অর্থাৎ ২৯ শে জুলাই বিমানটিকে ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্স-এর অন্তর্ভুক্ত করা হবে। ১০ ঘণ্টার সুদীর্ঘ পথ অতিক্রম করে ইউনাইটেড আরব এমিরেটসের ফরাসি বিমান ঘাঁটি আল ধাফ্রাতে অবতরণ করবে বিমান গুলি, সাময়িক বিশ্রামের পর সেটি আবার রওনা হবে আম্বালা অভিমুখে।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে বিশেষ পরিস্থিতিতে মাত্র সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই লাদাখের সংঘর্ষপ্রবণ অঞ্চলে মোতায়েন করা হতে পারে রাফাল যুদ্ধবিমান। ফ্রান্সের ইন্ডিয়ান এম্বাসি নিজের অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে একটি টুইট মারফত এই সংবাদটি প্রকাশ্যে আনে। রাফাল যুদ্ধবিমানটি ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্সের ১৭ তম স্কোয়াড্রনের, ‘গোল্ডেন অ্যারোজ’-এ যোগ দেবে। উক্ত স্কোয়াড্রনটিতে ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রথম রাফাল যুদ্ধবিমান স্থান পাবে। এই যুদ্ধবিমান মিটিওর এয়ার টু এয়ার মিসাইল নিক্ষেপে সক্ষম যা ১৫০ কিলোমিটার দূর থেকে শত্রু বিমান ধ্বংস করতে পারে। এছাড়াও রাফালে থাকবে স্কাল্প মিসাইল যার কার্যকরী ক্ষমতা ৬০০ কিলোমিটার পর্যন্ত।
আরও পড়ুন : সাংবাদিক বৈঠকে মুকুলের দাবি, “আমি অসম্মানিত নই”
আপৎকালীন পরিস্থিতির প্রস্তুতির জন্য ভারত হ্যামার মিসাইল কিনে রাখারও পরামর্শ করছে। এই প্রযুক্তি বর্তমানে পাকিস্তান বা চীন কোন পক্ষের কাছেই নেই, রাফাল ভারতীয় সেনাবাহিনীতে এলে তা আকাশপথে ভারতের প্রাধান্য তৈরি করবে যে কোন অঞ্চলে।