Home খেলা ব্যর্থতায় ভেঙে পড়েছিল মেয়েটি,  কিন্তু ফিরে এসে লিখলেন নতুন ইতিহাস

ব্যর্থতায় ভেঙে পড়েছিল মেয়েটি,  কিন্তু ফিরে এসে লিখলেন নতুন ইতিহাস

by banganews

মণিপুরের ইস্ট ইম্ফলের,  নংপোক কাকিং অঞ্চলে ১৯৯৪ খ্রীষ্টাব্দের ৮ ই আগস্ট
জন্মগ্রহণ করেন মেয়েটি। অভাবের সংসারে ছোট থেকেই উপার্জনের তাগিদ ছিল৷ পেটের দায়ে জঙ্গল থেকে কাঠ কুড়িয়ে আনত মেয়েটি৷ তখন থেকেই জীবনের মানে তাঁর কাছে পরিশ্রম।  মেয়েটি  বর্তমানে দেশের গর্ব সকলের প্রিয় ভারোত্তোলক মীরাবাঈ চানু।

টোকিও অলিম্পিক ২০২০ তে  ভারোত্তোলনের  ৪৯ কেজি তে রৌপ্য পদক জয় করেছেন৷ বিশ্বসেরা প্রতিযোগিতায় তার উত্তোলিত ভার ২০২ কেজি।

একদিকে অভাব এর সঙ্গে সংগ্রাম অন্যদিকে গভীর অধ্যাবসায় এর কাছে হার মেনেছে ব্যর্থতা৷ মাত্র কুড়ি বছর বয়সেই ২০১৪ সালে স্কটল্যান্ডে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ গেমসে ৪৮ কেজি বিভাগে রৌপ্য পদক লাভ করেন মীরাবাঈ চানু।  জাতীয় স্তরে পদক জয়ের যাত্রার শুরুয়াত৷

এরপর,  ২০১৬ সালে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত রিও অলিম্পিকে ৪৮ কেজি মহিলাদের বিভাগে অংশগ্রহণ করেন। ক্লিন ও জার্ক এ  তিনবার প্রচেষ্টার পরেও ব্যার্থতা আসে৷ ব্যর্থতার অসহনীয় ভার বইতে না পেরে সিদ্ধান্ত নেন খেলা থেকে সরে যাবেন৷ কিন্তু পরিবারের সকলে তাকে আবার চেষ্টা করতে বলেন, সকলের ভরসায় ব্যর্থতাকেই অস্ত্র বানিয়ে নেন চানু৷

এরপর শুরু নতুন অধ্যায়৷ ২০১৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যানাহিমে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ভারোত্তোলন প্রতিযোগিতায় মহিলা বিভাগে রেকর্ড গড়েন চানু৷ ১৯৪ কেজি ভার উত্তোলন করেন,(স্নেচে ৮৫ কেজি, এবং ক্লিন ও জার্কে ১০৯ কেজি) স্বর্ণপদক অর্জন করেন৷ শুধু তাই নয়, প্রাক্তন ভারোত্তোলক কর্ণম মালেশ্বরীর রেকর্ডও ভেঙে দেন চানু৷

অস্ট্রেলিয়ার গোল্ডকোস্টে অনুষ্ঠিত সিনিয়র ভারোত্তোলন বিভাগে স্বর্ণপদক লাভ করেন ২০১৭ তেই৷ পরবর্তী কমনওয়েলথ গেমসে অংশগ্রহণের ঘোষণাও করেন তিনি৷

২০১৮ তে অস্ট্রেলিয়ার গোল্ডকোস্টে অনুষ্ঠিত  কমনওয়েলথ গেমসে ১৯৬ কেজি ভার উত্তোলন করে ( স্নেচে ৮৬ কেজি, জার্ক ও ক্লিনে ১১০ কেজি)।এক্ষেত্রেও রেকর্ড সৃষ্টি করেন চানু৷

এবং তারপর সেই মাহেন্দ্রক্ষণ৷ সাল ২০২১,  এপ্রিলে ওয়েট লিফটিং চ্যাম্পিয়নশিপে ২০৫ কেজি ( স্নেচে ৮৬ কেজি ও ক্লিন ও জার্কে ১১৯ কেজি)  ওজন তুলে ব্রোঞ্জ পদক লাভ করেন মীরাবাঈ চানু।
এক কিশোরীর নিজের লক্ষ্যে অবিচল আর হেরে গিয়েও কান্না মুছে ফের ঘুরে দাঁড়িয়ে সমগ্র বিশ্ব দরবারে ইতিহাস সৃষ্টি করেন যে মেয়ে তিনি মীরাবাঈ চানু৷

২০১৮ সালে মীরাবাঈ ভারত সরকার কর্তৃক পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হন। এছাড়াও মণিপুর রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে  সংবর্ধনা দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ তাকে ২০ লক্ষ টাকা পুরস্কার হিসাবে দেন। যদিও এবারের টোকিও অলিম্পিকের রৌপ এখনও পর্যন্ত তার সেরা সম্মান।ব্যর্থতায় ভেঙে পড়েছিল মেয়েটি,  কিন্তু ফিরে এসে লিখলেন নতুন ইতিহাস

মণিপুরের ইস্ট ইম্ফলের,  নংপোক কাকিং অঞ্চলে ১৯৯৪ খ্রীষ্টাব্দের ৮ ই আগস্ট
জন্মগ্রহণ করেন মেয়েটি। অভাবের সংসারে ছোট থেকেই উপার্জনের তাগিদ ছিল৷ পেটের দায়ে জঙ্গল থেকে কাঠ কুড়িয়ে আনত মেয়েটি৷ তখন থেকেই জীবনের মানে তাঁর কাছে পরিশ্রম।  মেয়েটি  বর্তমানে দেশের গর্ব সকলের প্রিয় ভারোত্তোলক মীরাবাঈ চানু।

টোকিও অলিম্পিক ২০২০ তে  ভারোত্তোলনের  ৪৯ কেজি তে রৌপ্য পদক জয় করেছেন৷ বিশ্বসেরা প্রতিযোগিতায় তার উত্তোলিত ভার ২০২ কেজি।

একদিকে অভাব এর সঙ্গে সংগ্রাম অন্যদিকে গভীর অধ্যাবসায় এর কাছে হার মেনেছে ব্যর্থতা৷ মাত্র কুড়ি বছর বয়সেই ২০১৪ সালে স্কটল্যান্ডে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ গেমসে ৪৮ কেজি বিভাগে রৌপ্য পদক লাভ করেন মীরাবাঈ চানু।  জাতীয় স্তরে পদক জয়ের যাত্রার শুরুয়াত৷

এরপর,  ২০১৬ সালে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত রিও অলিম্পিকে ৪৮ কেজি মহিলাদের বিভাগে অংশগ্রহণ করেন। ক্লিন ও জার্ক এ  তিনবার প্রচেষ্টার পরেও ব্যার্থতা আসে৷ ব্যর্থতার অসহনীয় ভার বইতে না পেরে সিদ্ধান্ত নেন খেলা থেকে সরে যাবেন৷ কিন্তু পরিবারের সকলে তাকে আবার চেষ্টা করতে বলেন, সকলের ভরসায় ব্যর্থতাকেই অস্ত্র বানিয়ে নেন চানু৷

এরপর শুরু নতুন অধ্যায়৷ ২০১৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যানাহিমে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ভারোত্তোলন প্রতিযোগিতায় মহিলা বিভাগে রেকর্ড গড়েন চানু৷ ১৯৪ কেজি ভার উত্তোলন করেন,(স্নেচে ৮৫ কেজি, এবং ক্লিন ও জার্কে ১০৯ কেজি) স্বর্ণপদক অর্জন করেন৷ শুধু তাই নয়, প্রাক্তন ভারোত্তোলক কর্ণম মালেশ্বরীর রেকর্ডও ভেঙে দেন চানু৷

অস্ট্রেলিয়ার গোল্ডকোস্টে অনুষ্ঠিত সিনিয়র ভারোত্তোলন বিভাগে স্বর্ণপদক লাভ করেন ২০১৭ তেই৷ পরবর্তী কমনওয়েলথ গেমসে অংশগ্রহণের ঘোষণাও করেন তিনি৷

২০১৮ তে অস্ট্রেলিয়ার গোল্ডকোস্টে অনুষ্ঠিত  কমনওয়েলথ গেমসে ১৯৬ কেজি ভার উত্তোলন করে ( স্নেচে ৮৬ কেজি, জার্ক ও ক্লিনে ১১০ কেজি)।এক্ষেত্রেও রেকর্ড সৃষ্টি করেন চানু৷

এবং তারপর সেই মাহেন্দ্রক্ষণ৷ সাল ২০২১,  এপ্রিলে ওয়েট লিফটিং চ্যাম্পিয়নশিপে ২০৫ কেজি ( স্নেচে ৮৬ কেজি ও ক্লিন ও জার্কে ১১৯ কেজি)  ওজন তুলে ব্রোঞ্জ পদক লাভ করেন মীরাবাঈ চানু।
এক কিশোরীর নিজের লক্ষ্যে অবিচল আর হেরে গিয়েও কান্না মুছে ফের ঘুরে দাঁড়িয়ে সমগ্র বিশ্ব দরবারে ইতিহাস সৃষ্টি করেন যে মেয়ে তিনি মীরাবাঈ চানু৷

২০১৮ সালে মীরাবাঈ ভারত সরকার কর্তৃক পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হন। এছাড়াও মণিপুর রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে  সংবর্ধনা দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ তাকে ২০ লক্ষ টাকা পুরস্কার হিসাবে দেন। যদিও এবারের টোকিও অলিম্পিকের রৌপ এখনও পর্যন্ত তার সেরা সম্মান।

You may also like

Leave a Reply!