Home কলকাতা অসুস্থ বৃদ্ধকে অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়ে রাস্তার ধারে ফেলে দিয়ে গেলেন স্বাস্থ্যকর্মীরা!

অসুস্থ বৃদ্ধকে অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়ে রাস্তার ধারে ফেলে দিয়ে গেলেন স্বাস্থ্যকর্মীরা!

by banganews

ফের একবার অমানবিকতার চরণ নিদর্শন পাওয়া গেল এই করোনার আবহে। অভিযোগের তীর এবার অবশ্য খোদ স্বাস্থ্যকর্মীদের দিকে!
অভিযোগ, অসুস্থ বৃদ্ধকে অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়ে রাস্তার ধারে ফেলে দিয়ে গেলেন স্বাস্থ্যকর্মীরা! জ্বরে কার্যত বেহুশ হয়ে দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় পড়ে রইলেন তিনি। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ অঞ্চলের ঘটনা।

ওই বৃদ্ধের নাম বাদল দাস। বাড়ি, রায়গঞ্জের শহরের দেবীনগরের জোড়া বটতলা এলাকায়। তাঁর বৃদ্ধা স্ত্রী লকডাউনের জেরে আটকে পড়েছেন অন্য জায়গায়। তাই কার্যত বাড়িতে একাই ছিলেন ওই বৃদ্ধ। গত কয়েকদিন ধরে জ্বর নিয়ে অসুস্থ অবস্থায় একাই নিজের বাড়িতে দিন গুজরান করছিলেন তিনি। খবর পাওয়ার পর বিডিও-র সাহায্যে তাঁকে রায়গঞ্জে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্থানীয় শ্যামপুর পঞ্চায়েত সদস্যরা খোঁজ ও হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন এ বিষয়ে। সম্প্রতি হাসপাতালের তরফে তাঁদের জানানো হয়েছিল রোগী সুস্থ হলেই খবর দেওয়া হবে। তারপরেই এই ঘটনা!

আরো পড়ুন – ফোর জি‘তে থাকবে না চিনা সাহায্য: ভারতীয় টেলিকম মন্ত্রক

অভিযোগ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাদলবাবুকে অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়ে রাস্তায় ফেলে স্বাস্থ্যকর্মীরা পালিয়ে যান বলে অভিযোগ। ঘটনাটি নজরে পড়তে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন আশেপাশে লোকজন।

গোটা ঘটনাটি নিজের চোখে দেখেছেন বলে দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা জোৎস্না বিশ্বাস। তাঁর কথায়, “বাদলবাবুকে অ্যাম্বুলেন্স থেকে নামায় ওই হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা। তারপরেই গাড়ি নিয়ে চম্পট দেয় তারা। কাছে গিয়ে তারপর দেখা যায় জ্বরে প্রায় বেহুঁশ ওই বৃদ্ধ।” তিনি আরও বলেন, ” বাড়ি থেকে একটি চাদর এনে দিই। কিন্তু করোনা ভয়ে ওঁনাকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার সাহস পাচ্ছিলাম না।”
শুরু হয়ে যায় পথ অবরোধও। খবর যায় থানায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ আসার পরেও পুলিশকে ঘিরে চলতে থাকে বিক্ষোভ। কিন্তু ওই বৃদ্ধকে বাড়ি পৌঁছে দেবেন কে! করোনার ভয়ে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি কেউ।

আরো পড়ুন – ‘বাবা’ ডাক শোনার আগেই শহীদ জওয়ান কুন্দন

ততক্ষণে জানা গেছে বৃদ্ধের রিপোর্ট করোনা নেগেটিভ। এরপর পুলিশি তৎপরতায় বাদলবাবুকে হেমতাবাদ স্বাস্থ্যকেন্দ্র নিয়ে যাওয়া হয়।
গোটা ঘটনাটির ব্যাপারে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে সহকারী সুপার অভিক মাইতি জানিয়েছেন,
” ভর্তি করানোর সময়ে ওই বৃদ্ধের যে যোগাযোগের জন্য ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছিল, সেই নম্বর ফোন করে জানতে পারি, সেটি ঠিক নয়। কোনো ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর ব্যাপারে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। এরপর স্বাস্থ্যকর্মীরা অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়ে তাঁকে বাড়ি পৌঁছে দিতে যান। এটুকুই জানি। রাস্তায় ফেলে দেওয়ার বিষয়টি জানি না। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”

You may also like

Leave a Reply!