Home দেশ খাদের কিনারা থেকে ঘরে ফেরা

খাদের কিনারা থেকে ঘরে ফেরা

by banganews

এঁরা প্রত্যেকে আরেকটু হলেই ভেসে যেতেন। মনে অন্ধকার জমতে জমতে একেবারে এসে দাঁড়িয়েছিলেন খাদের কিনারে। আর তারপর! লিখলেন মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় 

চেষ্টাগুলো যখন আত্মঘাতী

ভারতে অবহেলা করা হয় মানসিক স্বাস্থ্যকে, নেই তেমন সচেতনতাও। বাঙালি অভিনেত্রী পার্নোর ট্যুইটে পাওয়া গেল তারই আভাস। পার্নো  লিখেছেন, ‘মানসিক স্বাস্থ্য অত্যন্ত জরুরি বিষয়। আমি একাধিকবার আত্মহত্যা করতে গেছি। এই কষ্টটা মুছে যায় না। এটা ধীরে ধীরে মানুষের চারদিকে একটি আবরণ তৈরি করে, যা দুর্ভেদ্য হয়ে ওঠে। কারোও সঙ্গে সেটা ভাগ করে নেওয়া সহজ নয়। অবসাদ বাঁচবার অঙ্গ হয়ে ওঠে তখন।’

পার্নো আরও যোগ করেন, ”আমি কেবল বলতে চাই, যাঁরা মানসিক অবসাদে কষ্ট পাচ্ছেন তাঁদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। আমি নিজে অবসাদে ভুগছিলাম এবং এখনও ভুগছি। এই পরিস্থিতি সহজ নয়। তবে আমার পরিবার ও বন্ধুরা সবসময় আমার সঙ্গে রয়েছেন। আমার চিকিৎসকরাও আমায় প্রচুর সাহায্য করছেন। কেবল সোশ্যাল মিডিয়ায় পাশে থাকার ট্রেন্ড ফলো না করে সত্যি সত্যি নিজের ভালোবাসার মানুষদের প্রতি সহানুভূতিশীল হোন, তাঁদের দেখাশোনা করুন।’

পরিবার…আরও দৃঢ় বন্ধন

সর্বভারতীয় গ্ল্যামার জগতে একমাত্র দীপিকা পাড়ুকোনই পেরেছেন তাঁর অবসাদের কথা খোলাখুলি বলতে। কোনও ইমেজের তোয়াক্কা না করে। সাধারণত নিজের ধূসর দিক বলতে চান না কোনও তারকাই। তাতে তাঁদের ফ্যান হারানোর ভয় থাকে। কাজ না পাওয়ার ভয় থাকে। কিংবা প্রতিপক্ষের হাতে অপদস্থ হওয়ার ভয় থাকে।

প্রকাশ পাড়ুকোনের মেয়ে কোনও সমালোচনা বা ছিছিক্কারে ডরান নাকি! স্পোর্টস স্পিরিট তাঁর রক্তে। কাজেই নিজেই বলেছেন নিজের সমস্ত অন্ধকারের কথা। যে দমচাপা সময় দিয়ে তিনি পেরিয়েছেন, সেই দমচাপা সময়টা এর আগে বহু প্রাণ নিয়ে ফেলেছে। লড়তে পারেননি যাঁরা, হারিয়ে গেছেন। কিন্তু দীপিকা শত আঁধারেও লড়ে গেলেন। বহুবার বলেছেন, তাঁর পরিবার সে সময় ভীষণরকম সাপোর্টে ছিলেন। সেই সাপোর্টটা না পেলে দীপিকা আবার নতুন করে সূর্যের আলো দেখতে পেতেন কিনা, কে জানে!

রণবীর কাপুরের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর যে অবর্ণনীয় মানসিক অবসাদের মধ্যে দিয়ে গেছেন দীপিকা, সেই অবসাদে যাতে মানুষ শেষ না হয়ে যায়, তার জন্য এক এনজিও তৈরি করলেন। লিভ লাভ লাফ ফাউন্ডেশন।

নিজে বেঁচে উঠে বাকিদেরও বাঁচিয়ে তোলার চেষ্টা।

ফিরে আসা। এই ফিরে আসার ব্যাপারটা সম্ভব হয় শক্তপোক্ত কোনও বাঁধন থাকলে। পরিবার বন্ধু প্রেমিক বা প্রেমিকা। আর কাজের প্রতি টান। জেদ। শেষের দুটো না থাকলে ফিরে এসেই বা থাকবেন কোথায়!

You may also like

Leave a Reply!