Home দেশ তারিখ পে তারিখ, কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে সমাধান সূত্র অধরাই

তারিখ পে তারিখ, কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে সমাধান সূত্র অধরাই

by banganews

বীরেন ভট্টাচার্য, দিল্লি ঃ অষ্টম দফার বৈঠকেও কৃষকদের দাবিদাওয়া এবং সরকারের অবস্থানের জট খুলল না। অধরাই রইল কৃষক বিক্ষোভের সমাধানসূত্র। আগের মতোই এদিন দুপুরে নয়াদিল্লির বিজ্ঞানভবনে কৃষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শুরু হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের। বৈঠকে কেন্দ্রের তরফে উপস্থিত ছিলেন পিযুষ গোয়েল, কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। সরকারের আনা তিনটি কৃষি বিল প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় থাকেন কৃষক নেতারা। যদিও জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রাখতে হবে বলে পাল্টা যুক্তি দেয় কেন্দ্র। কৃষক নেতারা সাফ জানিয়ে দেন, “আমরা এখানে তারিখ নিতে আসিনি।”

আরও পড়ুন ফেসবুকে পিকে-র প্রশংসা , বিজেপি নেতার দলবদলের জল্পনা

সূত্রের খবর, এদিন বৈঠকের মাঝে বিরতি নিতে চাইলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের ওপর ক্ষুব্ধ হন কৃষক নেতারা। তাঁদের করা প্রশ্নের দ্রুত উত্তরের দাবি তোলেন কৃষক নেতারা। পাশাপাশি জানান, বৈঠকে তাঁরা চা এবং খাবার খেতে আসেননি। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে একাধিকবার কৃষকদের বিক্ষোভ প্রত্যাহারের আবেদন জানানো হয়েছে। সে বিষয়ে এদিন কৃষক নেতারা সাফ জানিয়ে দেন, “আইন প্রত্যাহার করলে তবেই বাড়ি ফিরব।”অর্থাৎ কেন্দ্রীয় সরকারের তিনটি কৃষি বিল প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত তাঁরা যে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন, এদিন তা স্পষ্ট করে দেন কৃষক নেতারা। এক কৃষক নেতা বলেন, “যেভাবে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছে, তাতে মনে হচ্ছে সরকার সমাধান চায় না। সেটাই যদি হয়ে থাকে, তাহলে আমাদের পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেওয়া হোক এবং আমরা চলে যাব। কেন সবার সময় নষ্ট করা হচ্ছে।”সারা ভারত কিষাণ সংঘর্ষ কমিটির তরফে কবিতা কুরুগান্তি বলেন, সরকার ইউনিয়নকে জাানিয়েছে, তারা আইন প্রত্যাহার করবে না।
কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় দিল্লির চার সীমানায় বিক্ষোভরত কৃষকরা। তাঁদের দাবি একটাই, কোনওরকম বিকল্প বা সংশোধনী নয়, তিনটি আইনই প্রত্যাহার করতে হবে। বৈঠকের আগেও এমনই কড়া অবস্থান জানিয়েছিল কিষাণ মজদুর সংঘর্ষ কমিটি। এদিনের বৈঠকে কৃষকদের দাবিগুলি খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিল কেন্দ্রীয় সরকার। সরকারপক্ষের দাবি, তারা চায়, ইংরাজি নববর্ষ বাড়িতেই পালন করুন কৃষকরা। যদিও নিজেদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অবস্থানে অনড় কৃষকরা। প্রয়োজনে এক বছর ধরে অবস্থান করতেও রাজি আন্দোলনরত কৃষকরা।

আরও পড়ুন রাজ্যপাল সংবিধান বিরোধী, আগে ওকে সরান, মন্তব্য মদন মিত্রর

কেন্দ্রের তরফে এর আগে কৃষক নেতাদের জানানো হয়েছে, কোনও বিল পাস করিয়ে সেটিকে আইনে পরিণত করার প্রক্রিয়া যতটা দীর্ঘতর বা জটিল সেটি প্রত্যাহার করাটাও তেমনই। তবে বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল বা ফসলের অংশ পোড়ানোর ক্ষেত্রে আইনে কিছুটা ছাড়় দিতে রাজি সরকার। এর আগে ষষ্ঠ দফার বৈঠকে কেন্দ্র কৃষক নেতাদের প্রস্তাব দিয়েছে, কৃষি আইন সংক্রান্ত তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা এবং পর্যালোচনা করতে একটি কমিটি গঠন করা হবে। এছাড়াও কেন্দ্রের তিনটি কৃষি আইন সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে ব্যাখা করে বোঝানো হয়েছে কৃষক নেতাদের।

You may also like

Leave a Reply!