এক করোনা রোগীকে ঘিরে তোলপাড় টালিগঞ্জ থানা। ওই ব্যক্তি নিজেই থানায় গিয়ে জানান, তিনি করোনা আক্রান্ত৷ একথা শুনেই থানায় উপস্থিত পুলিশকর্মী যে যেদিকে পারেন ছুটতে শুরু করেন।
মঙ্গলবার দুপুরের মুখে মাস্ক পরা এক ব্যক্তি হাতে একটা কাগজ নিয়ে হাজির থানায়। ঢোকার মুখেই একটি টেবিলে বসেছিলেন কয়েকজন পুলিশকর্মী। তাঁদের হাতে ওই কাগজটি দিয়ে ভদ্রলোক বলেন, “স্যর! আমার করোনা টেস্ট হয়েছিল। এই যে রিপোর্ট। পজিটিভ এসেছে। এখন আমি কী করি বলুন তো স্যার!”
এই কথা শুনেই তোলপাড় শুরু হয় থানায়। কোনওরকমে ওই ব্যক্তিকে থানা থেকে বের করে বাইরের গাছতলায় বসিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তারপর এমআর বাঙ্গুর হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্স এসে কোভিড আক্রান্ত ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর গোটা থানা, উপরের পুলিশ আবাসন স্যানিটাইজ করা হয়।
আরও পড়ুন করোনা পজিটিভ সেবাইতকে চিহ্নিত করল পুরী প্রশাসন
ওই ব্যক্তির কাছাকাছি যাওয়া বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মীকে আইসোলেশনে পাঠানোর নির্দেশ দেয় লালবাজার। তবে পজিটিভ জেনেও এই ব্যক্তি কেন রাস্তায় বেরোলেন, বাড়ির লোকই বা কী করে ছেড়ে দিল সে ব্যাপারে খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।
করোনা আক্রান্তদের এদিক সেদিক চলে যাওয়ার ঘটনা নতুন নয়। মাস দেড়েক আগে এক কোভিড আক্রান্ত মধ্যবয়সী ব্যক্তি বাঙ্গুর হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে রাস্তা ধরে হাঁটতে শুরু করেছিলেন। কোনওক্রমে তাঁকে ধরে ফের বেডে নিয়ে যান তাঁরা।
কলকাতা পুলিশে একের পর এক কোভিড সংক্রমণের ঘটনা ঘটছে। গার্ডেনরিচ, শ্যামপুকুর, নিউ মার্কেট, আনন্দপুর, বউ বাজার-সহ একাধিক থানার ওসি, এসআই, কনস্টেবলের শরীরে কোভিড সংক্রমণ ধরা পড়েছে। শেক্সপিয়র সরণি থানার এক কনস্টেবলের মৃত্যু হলেও বাকিরা সবাই সুস্থ, অনেকে কাজেও যোগ দিয়েছেন। কিন্তু কলকাতা পুলিশের মধ্যে সংক্রমণ নিয়ে চিন্তিত লালবাজারও। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ তৈরি করেছে।