এই রাজ্যে করোনার গ্রাফ ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী, গত ২৪ ঘন্টার রিপোর্ট অনুযায়ী এদিন রাজ্যে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ২২৭৮, এদিন মৃত্যু হয়েছে ৩৬ জনের। বিধি নিষেধ সত্বেও আক্রান্তের পরিসংখ্যান যখন লাগামছাড়া হারে বাড়ছে, এমতাবস্থায় বর্ধমান শহরে ভিড় নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিল পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। শহরের বড়নীলপুর এবং ছোটনীলপুর এলাকায় আগেই লকডাউন ঘোষণা করেছিল সেখানকার সচেতন জেলা প্রশাসন। গত ২৪ ঘন্টায় সংক্রমণের পরিসংখ্যান হাতে পাওয়ার পরে এবার বর্ধমানের খোসবাগান এলাকাও বাঁশ দিয়ে ঘিরে ফেলল দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তারা। স্থানীয় হাসপাতালের গেট থেকে খোসবাগানের পুরোটাই বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে।
আরও পড়ুন : করোনায় মৃত প্রাক্তন গোয়েন্দাপ্রধানের স্ত্রী
সেই শহরে এদিন তিরিশ জনেরও বেশি বাসিন্দা কোভিড-১৯ পজিটিভ চিহ্নিত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মীরা। খোশবাগান এলাকায় অন্যান্য সাধারণ অসুখের চিকিৎসা করাতে এসেও বাঁশের ব্যারিকেডের জন্য অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে অনেককে।
সমগ্র শহরের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন অঞ্চলে লকডাউন ঘোষণা করা হলেও শহরের বেশিরভাগ এলাকাতেই রয়েছে প্রয়োজনীয় সচেতনতার অভাব। এই শহরের ১২,১৩ এবং ১৪ নম্বর ওয়ার্ডকে পুরোপুরি লকডাউনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। বর্ধমানের ৬ নম্বর ওয়ার্ডেরও বেশিরভাগ এলাকায় আগামী সাতদিন লকডাউন। জনগণের সংখ্যাগরিষ্ঠ এখন প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাচ্ছেন না। নিত্যপ্রয়োজনীয় ও অত্যাবশকীয় পণ্যের দোকান ব্যতিরেকে বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ সেখানে। ঘোষণা করা হয়েছে, বাইরে গেলে অবশ্যই মুখে মাস্ক দিতে হবে এবং বিধিসম্মত সতর্কীকরণ পালনের ক্ষেত্রে জোর দিচ্ছে সেখানকার স্থানীয় প্রশাসন।