ইউনাইটেড কিংডমের চীনা রাষ্ট্রদূত লিউ জাওমিং এই দিন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সংবাদ সম্প্রচার মাধ্যম বিবিসি’তে একটি আলোচনাচক্রে অংশগ্রহণ করেন। তাকে শিনজিয়াংয়ে গণহত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি সরাসরি সেই অঞ্চলে বসবাসকারী উইঘুর মুসলিমদের প্রতি হওয়া এই অবিচারের কথা অস্বীকার করেন। সেই অঞ্চলে থাকা মুসলিমদের প্রতি হওয়া অকথ্য অত্যাচারের কাহিনী সর্বসমক্ষে এলে সারা বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছিল। একাধিক সংবাদ সংস্থা সেই রিপোর্ট দেয়, এমনকি ভিডিও ফুটেজ ও ছবিও সেই ঘটনার পর্যাপ্ত সাক্ষ্য দেয়। আন্তর্জাতিক প্রচারমঞ্চে কোন দেশের রাষ্ট্রদূত কিভাবে প্রামাণ্য তথ্য থাকা সত্ত্বেও একটি বিষয়কে সম্পূর্ণত নাকচ করে দিতে পারে তা হতবাক করেছে অনেককে।
বিবিসি’র অ্যান্ড্রু মার শো’তে এদিন একটি আন্তর্জাতিক রাজনীতির আলোচনা চক্রে অংশগ্রহণ করেন লিউ জাওমিং। চীনের রাজনৈতিক সীমানার মধ্যে অবস্থানকারী শিনজিয়াং একটি স্বায়ত্তশাসনপ্রাপ্ত প্রদেশ। সেই প্রদেশের আদি বাসিন্দা উইঘুর মুসলিমরা জাতিগত ও সাংস্কৃতিক ভাবে মধ্য এশিয়ার বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ। চীনে ক্ষমতাসীন কেন্দ্রীয় সরকার তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে যে তারা অপরাধপ্রবণ ও শিনজিয়াং প্রদেশের স্বায়ত্তশাসনের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক কর্মসূচি আর নাশকতামূলক বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করছে। যা রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের সামিল ও স্বাভাবিক জনজীবনকে বিপর্যস্ত করছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে কোন নির্দিষ্ট জাতিগোষ্ঠীর প্রতি চীন নিজের দমনমূলক কার্যকলাপের কৈফিয়ৎ হিসেবে এধরনের যুক্তি প্রস্তুত করছে।
রাষ্ট্রদূতকে সে অঞ্চলের ড্রোন ফুটেজ দেখানো হলে তিনি বলেন, “আমি জানিনা এই ছবি কোথাকার”
গত কয়েকদিন যাবত ইন্টারনেটে যে উইঘুর মুসলিম মহিলার ইন্টারভিউ ভাইরাল হয়েছিল যাতে করে নির্যাতিতা সেখানকার কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে স্টেরিলাইজেশন এর মতো ভয়ানক ঘটনার কথা স্বীকার করে সে প্রসঙ্গে জাওমিং জানান যে, “এই নিষ্ঠুরতা চীনের পলিসি নয়”।