পশ্চিমবঙ্গের উত্তরের জেলাগুলিতে প্রবল বৃষ্টির জেরে জনজীবন বিপর্যস্ত। লাগাতার বৃষ্টিপাতে আজ জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজার শহরের কাছে জুরন্তি সেতুর একাংশ ভেঙে পড়ে।
একটি বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত তবে ভাগ্যবশত বিষয়টি ঘটেছে ভোররাতে। সেই সময় সাধারণত যান চলাচলের কথা নয়। দুর্ভাগ্যবশতঃ একটি কলা বোঝাই পিকআপ ভ্যান, ওই সময় সেতুটি পার হতে গেলে আচমকা হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে সেটি। ঘটনাস্থলেই ভ্যানের দুই আরোহীর মৃত্যু হয়। বিপর্যয়ের খবর পেয়েই অবিলম্বে সেখানে গিয়ে উপস্থিত হয় মালবাজার থানার এক পুলিশ দল।
ইতিমধ্যে উদ্ধার কাজে নেমেছে দমকল বাহিনী। জুরন্তি সেতু জলপাইগুড়ি আর শিলিগুড়ির সংযোগস্থলে থাকা একটি ব্যস্ত এবং গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ সেতু। এর একাংশ এভাবে ভেঙে যাওয়ায় আপাতত ডুয়ার্স থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত বিস্তীর্ণ অঞ্চল যোগাযোগ থেকে একেবারেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন : উত্তর ও দক্ষিণ দুই বঙ্গেই বৃষ্টির সম্ভাবনা
প্রশাসন জানিয়েছে, ভোরবেলা প্রায় সাড়ে তিনটে নাগাদ আসামের দিক থেকে কলাভরতি একটি সাপ্লাইয়ের গাড়ি শিলিগুড়ির দিকে যাচ্ছিল। মালবাজার শহরের কাছে মহকুমা বাগ্রাকোটের এমইএসের সন্নিকটে জুরন্তি সেতুতে ওই পিকআপ গাড়িটি ওঠা মাত্র হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে সেতু, চোখের নিমেষে ধুলিস্যাৎ হয়ে যায় ব্রিজের একাংশ। ওই উচ্চতা থেকে প্রায় ২০ ফুট নিচে পড়ে যায় গাড়িটি।
আরও পড়ুন : দেশের করোনা পরিস্থিতি
ঘটনাটি চাউর হলে, খবর পেয়ে মালবাজারের পুলিশ এবং দমকল কর্মীরা অকুস্থলে এসে ভ্যান থেকে দু’জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে। গত কয়েক সপ্তাহব্যাপী প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতের ফলে সেই ব্রিজটির নিচের মাটি ধসে গিয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ইতিপূর্বে কয়েক বছর আগেও জুরন্তি সেতুর ঠিক এই জায়গাই ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছিল শিলিগুড়ি-ডুয়ার্সের।
আরও পড়ুন : কাঁদছেন অমিতাভ বচ্চন
ব্রিজের একই জায়গা বারংবার ভেঙে পড়ার ঘটনাটি এবার সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন জাগাতে শুরু করেছে যে বিষয়টি কেবলই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে ঘটেছে নাকি সেতু মেরামতির কাজে ব্যবহৃত মাল-মশলায় ছিল সিংহভাগ ভেজাল। স্থানীয় গ্রামবাসীদের আশঙ্কা বৃষ্টি না থামলে লিস নদীর জল, চান্দা কম্পানি গ্রামে, চাষের জমিয়ে ঢুকে যেতে পারে।