আজ, বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে পাঁচ দিন ব্যাপী ভারতীয় জনতা পার্টির সাংগঠনিক বৈঠক। যেখানে রাজ্য বিজেপির সব প্রথম সারির নেতা উপস্থিত থাকবেন৷ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার দায়িত্বে থাকা বিজেপি নেতারা সশরীরে এই বৈঠকে উপস্থিত থাকছেন।
ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে দিল্লিতে গিয়ে ওই বৈঠকে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু শোভনের সিওপিডি-র সমস্যা থাকায় চিকিৎসকেরা তাঁকে এখন বাড়ি থেকে বেরোতে নিষেধ করেছেন। তা ছাড়া, দিল্লির করোনা-পরিস্থিতিও ভালো নয়। এই অবস্থায় শোভনের পক্ষে এখন দিল্লি যাওয়া খুবই কঠিন। তবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শোভন চট্টোপাধ্যায় থাকতে পারেন এমন সম্ভাবনাও রয়েছে৷
বাংলা দখল করতে গেলে জনসংযোগ প্রধান হাতিয়ার এটা মাথায় রেখেই দলের রাজ্য নেতৃত্বকে এগোতে হবে বলে জানিয়ে দিচ্ছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা৷ ঠিক কী ভাবে এই জনসংযোগ করা হবে, রাজ্যের শাসকদলকে আক্রমণের পন্থা কী হবে, রাজ্যের সর্বত্র দলীয় সংগঠনকে শক্তিশালী করা হবে কী উপায়ে- এ সবের রূপরেখা তৈরি করাই হবে দিল্লিতে বিজেপির পাঁচ দিন ব্যাপী সাংগঠনিক বৈঠকের প্রধান লক্ষ্য৷
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে বিজেপির ওই বৈঠকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে কী ধরনের দায়িত্ব দেওয়া হয়, রাজ্য নেতাদের একাংশের তা নিয়ে কৌতূহল রয়েছে।
বৈঠকে যোগ দিতে ইতিমধ্যেই দিল্লিতে পৌঁছেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷
বিজেপি সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, সাধারণ সম্পাদক বিএল সন্তোষ এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা দলের প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ পাঁচ দিন ব্যাপী বৈঠকে রাজ্য নেতাদের সঙ্গে দলের কর্মপদ্ধতি ও বাংলায় ভোটের রণকৌশল নিয়ে আলোচনা করতে পারেন৷