চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে। লখনউ, ম্যাঙ্গালোর, আমেদাবাদ বিমানবন্দর অধিগ্রহণ করে আদানি গ্রুপ। সম্প্রতি, এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার কাছে এই সংস্থার পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হয়েছে এই ৩টি বিমানবন্দর অধিগ্রহণ করতে আরও ৬ মাস সময় তাদের দেওয়া হোক। আসলে, করোনা সংক্রমণ, লকডাউন, আর্থিক মন্দা বিভিন্ন কারণে এই অধিগ্রহণ মেয়াদ বাড়ানোর আর্জি জানাল আদানি গ্রুপ।
আরো পড়ুন – বাবাকে শেষবারের জন্য মাত্র ৩ মিনিট দেখতে দেওয়া হয় – মণিপুরের অঞ্জলিকে
৩টি বিমানবন্দরের মান ও পরিকাঠামো উন্নয়নের স্বার্থে আদানি গ্রুপ অধিগ্রহণের অনুমোদন পেয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে। গত নভেম্বরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ছ’টি বিমানবন্দর পরিচালনার ভার বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
যদিও জয়পুর, গুয়াহাটি, তিরুবনন্তপুরম বিমানবন্দরের পরিচালনার অনুমোদন আদানি গ্রুপ এখনও পায়নি।
পাবলিক-প্রাইভেট অংশীদারীত্বে এই উদ্যোগ গৃহীত হবে। যাত্রীদের কাছে বিশ্বমানের পরিষেবা তুলে দিতে এই উদ্যোগ। সে সময় জানিয়েছিল এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া।
আরো পড়ুন – ভয়াবহ বিস্ফোরণঃ বিধ্বংসী আগুন গুজরাতের রাসায়নিক কারখানায়
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই করোনা আতঙ্কে ও লকডাউন এর জেরে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসামরিক বিমান সংস্থাগুলি। বর্তমানে চরম আর্থিক সংকটের মুখে এই বিমান পরিষেবা সংস্থাগুলি। বলাই বাহুল্য এই এই সংস্থার কর্মীদের বর্তমানে বেতন কমানো হচ্ছে অথবা সরাসরি চাকরি থেকেই ছাঁটাই হয়ে যাচ্ছেন কর্মীরা!
তবে সম্প্রতি প্রায় দু’মাস ঘরোয়া বিমান পরিষেবা বন্ধ থাকার পর মে থেকে শুরু হয়েছে বিমান চলাচল। অসামরিক পরিবহণ মন্ত্রী হরদীপ পুরী আশ্বাস দিয়েছেন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আন্তর্জাতিক উড়ানেও অনুমোদন দেবে সরকার।