Home বিদেশ অ্যান্টিবডি দ্রুত কার্যকারিতা হারাচ্ছে, সংখ্যাধিক্যের দীর্ঘমেয়াদি সুরক্ষায় ব্যর্থতার আশঙ্কা

অ্যান্টিবডি দ্রুত কার্যকারিতা হারাচ্ছে, সংখ্যাধিক্যের দীর্ঘমেয়াদি সুরক্ষায় ব্যর্থতার আশঙ্কা

by banganews
করোনাভাইরাস নিয়ে সম্প্রতি হওয়া একটি গবেষণা অনুযায়ী দেখা গিয়েছে ভাইরাস আক্রান্তের শরীরে সহজাতভাবে যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠেছিল তা দীর্ঘমেয়াদী ক্ষেত্রে শরীরকে এই ভাইরাসের পুন:সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতে অক্ষম। যে অ্যান্টিবডি দেহে বিজাতীয় প্রোটিন প্রবেশের ফলে সংশ্লেষিত হচ্ছিল তা রোগ সেরে যাওয়ার পরে দ্রুত হারাচ্ছিল নিজের কর্মক্ষমতা। আর ভাইরাস মিউটেশনের ফলে ভবিষ্যতে সেই সংক্রমণকে চিনতে পারছে না অ্যান্টিবডি।
যাদের দেহে মৃদু ইনফেকশন ও রোগ লক্ষণ গুলি প্রকট হচ্ছিল তাদের জন্য বিষয়টি আরও মারাত্মক। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ক্ষেত্রে মৃদু সংক্রমিতরাই যেহেতু সংখ্যাগুরু তাই একবার আক্রান্ত হবার পরেও দ্বিতীয়বার এই রোগটি সমান মারাত্মক হয়ে দেখা দিতে পারে তাদের জন্য। সংক্রমণের এই বিশেষ প্রবণতাটি সহজাত রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার পাশাপাশি ভ্যাকসিনের প্রায়োগিক গুণাগুণকেও প্রশ্নের মুখে ফেলে দেয়।
নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিনের আউটলাইন রিসার্চ অনুযায়ী প্রায় ৩৪ জন আক্রান্ত রোগীর কাছ থেকে প্রথমে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। ৩৭ দিন পরে সুস্থ হয়ে যাওয়া সেই রোগীদের দেহ থেকে রক্তের নমুনা আবার সংগ্রহ করা হল এবং পরে ৭৩ দিনের মাথায় পুনরায় তাদের পরীক্ষা করা হয়। পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে ৩৭ দিনের মাথায় রোগীর রক্তে অ্যান্টিবডির পরিমাণ বহুলাংশে কমেছে, এবং ৭৩ দিনের মাথায় সেই একই রোগী এসএআরএস (করোনাভাইরাসের পূর্ববর্তী ইনফেকশনের একটি ধরন) দ্বারা সংক্রমণ যোগ্য একটি পর্যায়ে ফিরে এসেছে। লন্ডনের কিংস কলেজের গবেষণাও একই ফলাফল দেখিয়েছে, তারাও জানাচ্ছে তিন মাসের পর আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হওয়া রোগীরাও টি-সেলের দরুন পুনরায় সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখাচ্ছে।
সুইডিশ পাবলিক হেলথ এজেন্সি ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে একবার আক্রান্ত হবার পর ছয় মাস ন্যূনতম আর এই রোগ সম্ভাবনা থাকে না তৎপরবর্তী সময় ধীরে ধীরে আক্রান্তের সম্ভাবনা বাড়তে থাকে। লস অ্যাঞ্জেলেস, ক্যালিফোর্নিয়া প্রভৃতি মিডিসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাও জানিয়েছে এখনো পর্যন্ত এই ভাইরাসের অ্যান্টিবডির গতিবিধি সম্পূর্ণরূপে বুঝে ফেলা সম্ভব হয়নি, একটি উপরিস্তরের বোঝাপড়ার মাধ্যমে অনুমান করা হচ্ছে প্রতিটি মানুষের সহজাত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে তা আক্রান্ত রোগীকে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করছে।

You may also like

Leave a Reply!