সেবাই পরম ধর্ম একথা আমরা সকলেই ছোটবেলায় বইতে পড়েছি। কিন্তু নিজেদের জীবনেও সেবাকেই ধর্ম এবং কর্মজ্ঞানে প্রতিনিয়ত অসংখ্য মানুষের জীবন রক্ষা করে চলেছেন শ্যামবাজার এর নবজীবন হসপিটালের অভিজ্ঞ চিকিৎসক ডা. সৌরভ কুমার ঘোষ ।
করোনা মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই তীব্র অর্থ সংকট দেখা গিয়েছিল। কারণ করোনা চিকিৎসায় অতিরিক্ত অর্থব্যয়। চারিদিকে মানুষের হাহাকার, অক্সিজেন নেই, বেড নেই। এইসময় মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন ডা. সৌরভ কুমার ঘোষ। সবাই মানেন ডাক্তার ভগবানের আর এক রূপ। তাই প্রত্যাশার চাহিদাও আকাশচুম্বী। কিন্তু এই অক্লান্ত পরিশ্রমের বিনিময়ে সামান্য সমস্যাতেও তাঁদের উদ্দেশ্য ব্যবহৃত হয় নানান কটুক্তি। জোটে নানান ধরণের লাঞ্ছনা। এত কিছুর পরেও তাঁরাই দিনরাত পরিশ্রম করে, করোনা আবহে নিজেদের জীবনের ভাবনা তুচ্ছ করে আমাদের সুস্থ করে তুলছেন নিরলসভাবে। ডাক্তার সৌরভ কুমার ঘোষও এরকমই একজন মানুষ। তাঁর এই নিয়ে বার দুই হার্ট অ্যাটাক হওয়া সত্ত্বেও নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিগত দু বছর অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন মানুষকে সুস্থ করতে৷ বহু দুঃস্থ মানুষ তার কাছে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা পেয়ে সুস্থ জীবনযাপন করছেন৷ অর্থের অভাবে যাতে কোনো শিশুর পড়াশুনা বন্ধ না হয় সেজন্যই ডাক্তার ঘোষ শিশুদের বই খাতা পেন্সিল উপহার দিয়ে সাহায্য করেছেন। পাশে থেকেছেন বহু দুঃস্থ মানুষের। শিশুরা আগামীর ভবিষ্যৎ । কিন্তু যাদের দুবেলা প্রতিদিন খাবার জোটে না ঠিকমত তাদের কাছে পরিচ্ছন্নতা, স্বাস্থ্য সচেতনতা এই শব্দগুলো বাহুল্য। সেইকথা ভেবেই, প্রতিবছর মেট্রো ফার্মার উদ্যোগে পথশিশুদের স্বাস্থ্যপরীক্ষায় পাশে থেকেছেন তিনি। গত ১৬ই জুন, মেট্রো ফার্মার উদ্যোগে প্রায় ২০০ এর বেশি পথশিশুদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে একটি হেলথ কিট দেওয়া হয়। মাস্ক, স্যানিটাইজার, ORS ছিল সেই কিটে৷ এই সময় শিশুদের সুস্থতার জন্য কী করা প্রয়োজন সেই বিষয়ে বিষদে পরামর্শও দিয়েছেন ডাক্তার সৌরভ কুমার ঘোষ। পেশার বাইরে গিয়েও শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য সবকিছুতেই মানুষের পাশে বিভিন্নভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, করোনা মহামারীর এই তীব্র পরিস্থিতিতে, আর্থিক সঙ্কটে নানান সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন রোগীর পরিবার। রোগীর পরিবারের তরফে অভিযোগ ছিল, বিমা সংস্থার তালিকায় থাকলেও রোগীর চিকিৎসার জন্য নগদ টাকা চাওয়া হচ্ছে, ক্যাশলেস পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে না৷ চিকিৎসা ব্যয়সাপেক্ষ হওয়ায় সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে এই পরিস্থিতিতে একমাত্র ভরসা মেডিক্লেম। এইসময় মানুষের ভরসার হাত হয়ে উঠেছিল নবজীবন হসপিটাল এবং এই হসপিটালের ডাক্তার সৌরভ কুমার ঘোষ। সরকারি এবং বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই ক্যাশলেস মেডিক্লেইম এর সুবিধা সহ চিকিৎসার জন্য যা খরচ হচ্ছে তার ৯০ % টাকাই ক্যাশলেস মেডিক্লেইম এর মাধ্যমে নবজীবন হসপিটালে পেমেন্ট করা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন রোগীর পরিবারের লোকজন। নবজীবন থেকে সুস্থ হয়েছেন
কলকাতা হাইকোর্ট এর আইনজীবী ধ্রুবজ্যোতি পালিত এবং তার স্ত্রী সুদীপা দেবী। সোশ্যাল মিডিয়া অন্ট্রেপ্রেনর প্রশান্ত সরকার।
বেসরকারি হসপিটাল হলেও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তুলনায় চিকিৎসার খরচ নবজীবনে অনেকটাই কম কারণ একটাই ক্যাশলেস মেডিক্লেম এর সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে৷