ভয়াবহ ঘুর্ণিঝড় আছড়ে পরেছে বাংলার বুকে, পার হয়ে গিয়েছে ১.৫ দিন তবুও থমথমে গোটা রাজ্য। ১৩০ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়েছিল এই ঝড়। প্রচুর ক্ষতি হয়ে গিয়েছে রাজ্যের। এই ভয়াবহ ঝড়ের প্রকোপে রাজ্যে মারা গেছেন ৭২ জন। এর মধ্যে কলকাতায় মারা গেছেন ১৫ জন। সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় বিশেষ করে নামখানা ও সুন্দরবন প্রায় ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন এই অসহায় মানুষগুলোর দিকে। মৃতদের পরিবার পিছু ২.৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। এছাড়াও কেন্দ্রের থেকে সাহায্য দ্বাবি করেছেন। সরাস্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ফোন সহযোগিতার জন্য জানান এবং প্রধানমন্ত্রীকে রাজ্যে এসে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষনে আসতে অনুরোধ করেন তিনি। তবে এখনই আমফানকে জাতীয় বিপর্যয় বলে ঘোষণার দাবি তোলেননি মমতা বন্দোপাধ্যায়। রাজ্যের মত করোনা ভাইরাস নিয়ে এমনিতেই জাতীয় বিপর্যয় চলছে। করোনা ভাইরাসে দেশের মানুষ নাজেহাল হয়ে পড়েছে। তার উপর এই দুর্যোগে মর্মাহত মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
তিনি সর্বত ভাবে সাধারণ মানুষের পাশে আছেন। আজ প্রধানমন্ত্রীর সাথে আকাশ পথে পরিদর্শনে বেরোবেন মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। কিন্তু প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র ও সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম আমফান কে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণার দাবি তুলেছেন। কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর দাবি রাজনীতি না করে কেন্দ্র বাংলাকে সাহায্য করুক। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি ট্যুইট করে জানান অবিলম্বে আমফানকে জাতীয় বিপর্যয় বলে ঘোষণা করা হোক। এদিকে সুত্রের খবর আজ এলাকা পরিদর্শনের পর নবান্নে রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে একদফা বৈঠক করবেন মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।