তমলুক, ১ অক্টোবর ২০২০ : দীর্ঘ লকডাউন এবং করোনা আবহে কাজ হারানো পরিযায়ী শ্রমিকদের সংসার চালানো কষ্টের হয়ে উঠেছে। তার উপর রয়েছে ছেলেমেয়েদের অনলাইনে পড়াশোনা। নুন আনতে পান্তা ফুরনো মানুষগুলোর দুবেলা গরম ভাতই জোটে না, ছেলেমেয়েদের অনলাইনে ক্লাস করানোর সামর্থ্যও নেই তাদের।
তাই পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরের সেই পরিযায়ী শ্রমিক পরিবারের পড়ুয়াদের বিনা পারিশ্রমিকে পড়ানোর জন্য এগিয়ে এলেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নিমাই চরণ দাস অধিকারী।
আরও পড়ুন ওয়েবসিরিজ প্রযোজনায় মহেন্দ্র সিং ধোনি
নিউ নরমালের শিক্ষা এখন অনলাইনে কিন্তু যাদের ল্যাপটপ বা স্মার্ট ফোন নেই সেই গরিব পরিবারের ছেলে মেয়েদের শিক্ষার ভার কে নেবে? তাহলে তারা কি শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত থাকবে? তাদের কথা ভেবেই এগিয়ে এসেছেন পঁচেটগড় হাইস্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নিমাইচরন দাস অধিকারী। পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে নিজের বাড়িতেই খুলেছেন অস্থায়ী পাঠশালা। বিনা পারিশ্রমিকে ২০টি পরিযায়ী শ্রমিক পরিবারের ছেলেমেয়েদের পড়ানো শুরু করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন ১২০০ কোটি টাকার সোলার পার্ক উদ্ধোধন
চাণক্য বলেছিলেন “গুরু যদি শিষ্যকে একটি অক্ষরও শিক্ষা দেন, তবে পৃথিবীতে এমন কোন জিনিস নেই যা দিয়ে সেই শিষ্য গুরুর ঋণ শোধ করতে পারে।” চান্যকের উক্তি আজও উজ্জ্বল। নিমাই মাস্টারমশাই ছাত্রছাত্রীদের কাছে যেন সাক্ষাৎ ভগবান। স্মার্টফোন নেই তো কি হয়েছে নিমাই স্যার তো আছেন, তিনিই জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করছেন গরীব পরিবারের পড়ুয়াদের। পরিষেবা দিতে পেরে নিমাইবাবু যেমন খুশি তেমনি খুশি পড়ুয়াদের পরিবারেরাও।