আগের সপ্তাহেই করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন প্রখ্যাত তেলেগু কবি ভারভারা রাও। গত সপ্তাহের ১৬ ই জুলাই খবর পাওয়া গিয়েছিল প্রিয় কবির করোনা সংক্রমণের। বয়সজনিত কারণে এই রোগে দ্রুত শারীরিক অবনতি হতে শুরু করে।সূত্রের খবর অনুযায়ী তার অবস্থা সত্যিই আশঙ্কাজনক ও প্রায় মৃত্যুশয্যায় তিনি। এলগার পরিষদ মামলার জেরে ২০১৮ সাল নাগাদ আটক কর হয় তাকে। দীর্ঘদিন তিনি বন্দি ছিলেন তালোজা জেলে। বার্ধক্য ও দীর্ঘ কারাবাসে বিগত বাইশ মাস ধরেই ওনার শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছিল।
অভিযোগ উঠেছিল উপযুক্ত চিকিৎসার গাফিলতিরও। যে দেশে খুনি, ধর্ষকরা রাজনৈতিক প্রভাবে সহজে জামিন পেয়ে আক্রমণ করে অভিযোগকারীদের সেখানেই প্রশাসনিক নিয়মের অজুহাতে জামিনের আবেদন করলেও তা মঞ্জুর হয় না রাওয়ের ক্ষেত্রে। জুলাই মাসের ১৩ তারিখ তাকে ভর্তি করা হয়েছিল জেজে হাসপাতালে। নিউরো-চিকিৎসার জন্যই তাকে গত ১৬ তারিখ নানাবতী হাসপাতালে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পাশাপাশি তার মূত্রনালিতেও সংক্রমণ হয়েছিল বলে জানা যায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে। কিন্তু করোনার রিপোর্ট ছাড়া তার শারীরিক অবস্থার অন্য কোনো তথ্যই তার পরিবারের কাছে প্রকাশ করেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন : হাসপাতালে ভর্তি সোমেন মিত্র
সম্প্রতি মুম্বাই হাইকোর্টকে তার আইনজীবী সুদীপ আর্জি জানান অশীতিপর এই কবিকে মৃত্যুশয্যায় জামিন দেওয়া হোক। অন্তিম দিনগুলি পরিবারের সাহচর্যে ও পরিচর্যা যাতে তিনি পেতে পারেন তাই এই আবেদন। সোমবার সকালে মুম্বাই হাইকোর্ট রায় দেয়। এনআইএ এবং মহারাষ্ট্র সরকারকে আদেশ দেওয়া হয় ভারভারা রাওয়ের শারীরিক অবস্থার সমস্ত তথ্য তার পরিবারকে জানাতে এবং অনুমতি মেলে দূরত্ব মেনে দেখা করারও।
জানা যাচ্ছে জে জে হাসপাতালে থাকার সময় গুরুতরভাবে মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন কবি ভারভারা রাও। অসংলগ্ন কথাবার্তা, ডেলেরিয়াম এবং হ্যালুসিনেশনের মত উপসর্গও দেখা দিয়েছিল তার মধ্যে। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে। এই কবির শরীরিক অবস্থার অধঃপতন নিয়ে চিন্তিত কবির দেশ বিদেশের অসংখ্য ভক্তরা।