Home বিদেশ টুইটার বন্ধ করলো ট্রাম্পের ইলেকশন ক্যাম্পেইন

টুইটার বন্ধ করলো ট্রাম্পের ইলেকশন ক্যাম্পেইন

by banganews

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও বিতর্ক এই দুয়ের পারস্পরিক সহাবস্থানে আর অবাক হয় না বিশ্ব। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট হিসেবে অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম টুইটারের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সংঘাত ইতিপূর্বে বহুবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে। গতকাল অর্থাৎ শনিবার ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজের নির্বাচনী প্রচারের একটি স্টাইলভিডিও রিটুইট করেন, টুইটার কর্তৃপক্ষ সেই ভিডিওটির প্রতি কপিরাইট লঙ্ঘনের অভিযোগ দাখিল করে সেটিকে ইন্টারনেট থেকে সরিয়ে দেয়। জনপ্রিয় মিউজিক ব্যান্ড লিংকিন পার্কের একটি বিখ্যাত গানের সুর ভিডিওটিতে ব্যবহৃত হয়। উক্ত ব্যান্ডের অনুমতি ব্যতিরেকেই স্টাইল ভিডিওটিতে গানটির ব্যবহার করা হয়, যা কপিরাইট ভায়োলেশন হিসেবে গ্রাহ্য করে টুইটার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিউজফিড থেকে অবিলম্বে সেই ভিডিওটি সরিয়ে দেওয়া হয়। টুইটারের তরফে তাকে জানানো হয় উক্ত মিডিয়াটির স্বত্বাধিকারীর রিপোর্টের ভিত্তিতে সেটিকে মুছে ফেলা হয়েছে।

আরও পড়ুন থাইল্যান্ড গভর্মেন্টের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে হাজার মানুষের ঢল রাস্তায়

ট্রাম্প সেই ভিডিওটি হোয়াইট হাউস সোশ্যাল মিডিয়া ডিরেকটর ড্যান স্ক্যাভিনোর মাধ্যমে রিটুইট করলে সেটি অল্প সময়ের মধ্যেই ডিজিটাল মিলেনিয়াম কপিরাইট অ্যাক্ট নোটিশ পায় মেশিন শপ এন্টারটেইনমেন্টের পক্ষ থেকে। বিষয়টি উদ্ধৃত করে একটি নোটিশ লুমেন ডেটাবেসে পোস্ট করা হয়, যা আদতে স্বত্বাধিকারীর অনুমতি ব্যতীত ব্যবহৃত অনলাইন মেটেরিয়াল সরিয়ে ফেলার আবেদন জমা নেয়। টুইটার মারফত তৎপরতার সঙ্গে বিষয়টি সামাল দেওয়া হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্টকে একটি মেইল লিখে তারা জানিয়েছে যে তারা কেবলমাত্র কপিরাইট লঙ্ঘন আইন অনুসারে দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে স্বত্বাধিকারী অথবা তার অনুমোদিত প্রতিনিধিকে সাহায্য করেছে। টুইটার ও ট্রাম্পের মধ্যে মে মাসেও নির্বাচনসংক্রান্ত একটি পোস্ট ঘিরে তরজা তুঙ্গে ওঠে। টুইটারের প্রতিনিধিরা তাকে ‘ফ্যাক্ট চেক ওয়ার্নিং’ দিয়েছিল সেবার।

আরও পড়ুন কজন ভারতীয়র অ্যাকাউন্ট হ্যাক? টুইটারকে প্রশ্ন কেন্দ্রের

একাধিক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট যেমন মিশিগান, নেভাডা প্রভৃতি, আসন্ন ইলেকশনে সংক্রমণ রুখতে ভোটদানের অধিকার প্রাপ্ত নাগরিকদের বাড়িতে ব্যালট পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উক্ত নাগরিকরা নিজেদের ভোট দানের পর সেটিকে একই পদ্ধতিতে জমা করতে পারবে। সেই স্টেটগুলি নিজেদের সিদ্ধান্ত মত কাজ করার অধিকার রাখলেও এক্তিয়ার বহির্ভূতভাবে বিষয়টির কড়া সমালোচনা করেন প্রেসিডেন্ট, এমনকি ফেডারেল ফান্ড বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন মিশিগানকে। বিতর্কিত এ ধরনের মন্তব্যে টুইটার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে ট্রাম্প অভিযোগ করে মাইক্রোব্লগিং সাইট হিসেবে টুইটার ২০২০ এর নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে চাইছে।

You may also like

Leave a Reply!