করোনার কথা আপনার ফোনে রোজ কে বলেন? লিখলেন মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়
জসলিন ভাল্লা’কে চেনেন? ঠিক চিনে উঠতে পারলেন না তো! অথচ এই জসলিনের কথা আপনি তিরিশ সেকেন্ড ধরে শুনতে বাধ্য হন। প্রতিটা ফোন কলের সঙ্গে গেঁথে থাকেন জসলিন। তাঁর কথা শেষ হলে তবে যাঁকে ফোন করেছেন, তাঁর কাছে রিং বাজবে।
আরো পড়ুন:- করোনায় মৃত্যু হল বিধায়ক জে আনবাজাগানের
ঠিক ধরেছেন। করোনা ভাইরাসের সম্বন্ধে সতর্কবাণী। নিশ্চয়ই বিরক্ত হন প্রতিবারই। অথচ কিছু করারও নেই। এই জসলিন ভাল্লার বাড়ির লোকজন, আত্মীপরিজন সকলেরই এক অবস্থা। বিরক্তিতে আটখানা।
জসলিন কিন্তু মজা পান। মাস কয়েক আগে তাঁর কাছে যখন স্ক্রিপ্টটা এসেছিল, জানতেনও না এ স্ক্রিপ্ট ঠিক কোন কাজে লাগবে। ভয়েজ ওভার দিয়ে দিলেন। আর তারপর নিজের ফোনে নিজে শুনে তো পুরো থ।
আরো পড়ুন:- দিনভর মিটিংয়ের পর কাটল না শ্যুটিং নিয়ে অচলাবস্থা টলিপাড়ায়
করোনা সতর্কবাণীর কলার টিউনে কণ্ঠস্বর এই জসলিনের। পেশায় আগে ছিলেন ক্রীড়া সাংবাদিক। বন্ধুরা বলত, গলাটা তাঁর একেবারে ভয়েজ ওভারের জন্য আদর্শ। অনেকটা তাদের কথা রাখতেই ভয়েজ ওভারে আসা।
হাসিখুশি মেয়েটির গলাটা একটু ভারিক্কি। বেশ সিরিয়াস ভয়েজ ওভারগুলো তাঁর কণ্ঠে খুব মানায়। বিশেষ করে বহু সরকারি ভয়েজ ওভার দিয়েছেন জসলিন। যেমন ভারতীয় রেল, দিল্লি মেট্রো আর এখন করোনা সতর্কতা। অবশ্য বহু বেসরকারি কম্পানির হয়েও ভয়েজ দিয়েছেন জসলিন। তবে এই করোনা-বার্তা তাঁর কণ্ঠের সেরা কাজ হয়ে থাকবে নিশ্চয়ই।
আরো পড়ুন:- করোনা থেকে রেহাই পেলেন না সালমন খান! পিছিয়ে গেল তাঁর অভিনীত রাধে সিনেমার মুক্তি