হুগলি, ২২ অক্টোবর, ২০২০ঃ নদিয়ার মুস্তাফিদের হাত ধরে দুর্গাপুজোর প্রচলন। হুগলির সোমরা বাজারের বিশ্বাসবাড়ি যেন ইতিহাসের খনি। ঢাকের বোল, শঙ্খধ্বনি, পুজো উপাচার আর অনুষ্ঠান মুখরতায় পরমানন্দে পুজো কাটে গ্রামবাসীদের।
৩৫০ বছর আগে হুগলির সোমরা বাজারে পা রাখেন নদিয়ার মুস্তাফিরা। পরিবারের সদস্য রাধাজীবন মুস্তাফির হাতে শুরু হয় দেবী দুর্গার আবাহন। শরিকি কোন্দলে ভাগ হয়ে যায় সম্পত্তি। রাধাজীবনের অংশের ভাগ পান তাঁর বোন বেলারানি। পুজোর দায়িত্বও পান তিনিই। সেই থেকেই ধূমধাম করে রীতি মেনে চলে আসছে বিশ্বাসবাড়ির পুজো। পুজোর চারদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মেতে ওঠে গোটা এলাকা।
আরও পড়ুন পুরোহিতদের সম্মান জানাল হাওড়া জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেস
শুধু পুজোই নয়, বিশ্বাসবাড়ির আনন্দময়ীর মন্দিরও ইতিহাস প্রসিদ্ধ। হুগলির বারাণসী বলে পরিচিত সোমরা বাজারের এই ২৫ চূড়ার মন্দির মন ধরে জানবাজারের রানি রাসমণির। বারাণসী থেকে কলকাতা ফেরার পথে গঙ্গাবক্ষ থেকে এই মন্দির দেখে পরে দক্ষিণেশ্বরে ২৪ চূড়ার ভবতারিণী মন্দির নির্মাণ করেন রানি রাসমণি। পরতে পরতে ইতিহাস নিয়ে ঐতিহ্যের জৌলুসে প্রতিবারের মত এবারও সোমরাবাজারের আকাশ-বাতাস মুখরিত করবে বিশ্বাসবাড়ির উৎসবের বাদ্যি।