পঞ্চায়েত ট্রেড লাইসেন্সের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বেঁধে দিল রাজ্য সরকার। এরজন্য আর যেমন খুশি টাকা নিতে পারবে না পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর। অনলাইন জমা করতে হবে এই টাকা। টাকার পরিমাণ নির্ভর করবে দোকান বা কারখানার আয়তনের উপরে। শিল্প ও ব্যবসায়ী মহল এই নির্দেশিকাকে স্বাগত জানিয়েছে। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের কর্মীদের মতে, ট্রেড লাইসেন্সের নাম করে বেআইনি পথে টাকা নেওয়ার একাধিক অভিযোগ তাঁদের কাছে আসে। সেই সব সমস্যার সমাধান করতেই এই সিদ্ধান্ত।
হরিয়ানাতেও ঘাসফুল, পার্টি অফিস খুলছে তৃণমূল
পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর সূত্রে জানা গেছে, সরকার চায় গ্রামেও শিল্প-বাণিজ্যের বিস্তার হোক। শিল্পোদ্যোগী ও ব্যবসায়ীদের সামনে পঞ্চায়েতগুলি যাতে কোনও বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, সেটা সুনিশ্চিত করতে চায় সরকার। এই প্রসঙ্গে পঞ্চায়েতমন্ত্রী পুলক রায় জানিয়েছেন, ‘‘আমি নতুন মন্ত্রী হয়েছি। ট্রেড লাইসেন্স সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া হয়েছে। যদি কোনও সমস্যা হয়, তা খতিয়ে দেখে মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ মেনেই সিদ্ধান্ত নেব।’’
পঞ্চায়েত দফতর সূত্রে খবর, কোনও পঞ্চায়েত এলাকায় শিল্প বা ব্যবসার জন্য ট্রেড লাইসেন্স নেওয়ার জন্য তথ্য প্রয়োজন হলে তা পাওয়া যাবে ওয়েবসাইট থেকে। ওয়েবসাইটে প্রতিটি পঞ্চায়েতের নামে একটি করে নির্দিষ্ট কোড থাকবে। সেই কোড থেকেই পাওয়া যাবে পঞ্চায়েতের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর। ফি এবং কাগজপত্র জমা দিলে সঙ্গে সঙ্গেই মিলবে লাইসেন্স। লাইসেন্স নবীকরণের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম করা হয়েছে।