দেশে ওমিক্রণ আক্রান্তের সংখ্যা পেরোলো 150 রবিবার রাতে দুজন ওমিক্রন আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়। রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা যাচ্ছে, ৪৫ বছরের এক ব্যক্তি সম্প্রতি ব্রিটেন থেকে আমেদাবাদে ফিরেছেন। বিমানবন্দরে নামার পর তার আরটিপিসিআর পরীক্ষা করা হলে জানা যায় তিনি করোনা আক্রান্ত। তৎক্ষণাৎ তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। তারপরে জানা যায় ওই ব্যক্তির শরীরে ওমিক্রন ভাইরাস রয়েছে৷ তবে এখন হাসপাতাল সূত্রে জানা যাচ্ছে, তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
প্রশাসন জানিয়েছে, বিমানে তার সহযাত্রীদের সকলের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। ব্রিটেন ফেরত গান্ধীনগরে আরো একজনের দেহে ওমিক্রন ভাইরাস ধরা পড়েছে। রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ভারতবর্ষে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল 151 যার মধ্যে মহারাষ্ট্রের ৫৪ জন, দিল্লিতে ২২ জন, রাজস্থানে ১৭ জন, কর্ণাটকে ১৪ জন, তেলেঙ্গানায় ২০ জন, গুজরাটে ৯ জন, চন্ডিগড়, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধপ্রদেশ প্রত্যেক জায়গায় একজন করে ওমিক্রন আকান্ত৷ দেখা যাচ্ছে মহারাষ্ট্র এবং দিল্লিতে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা সর্বাধিক। রাজধানীতে যে হারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে,তা উদ্বেগজনক বলে জানিয়েছেন, দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন৷ আগামীকাল স্বাস্থ্যকর্তাদের নিয়ে একটি বৈঠক ডেকেছেন তিনি।
বর্ষশেষের উৎসবে কিভাবে ভিড় সামলানো যাবে তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে। ওমিক্রন আটকাতে কোন রকমের ফাঁক রাখতে চাইছে না দিল্লি সরকার। বাজার থেকে পর্যটন স্থান মেট্রো স্টেশন সর্বত্র যাত্রীদের করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
এখনো চিকিৎসকদের হাতে ওমিক্রণ সংক্রান্ত কোনো পর্যাপ্ত তথ্য নেই। তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রক স্বাস্থ্যকর্তাদের প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানিয়েছেন সাধারণ জ্বরের মতই ওমিক্রণ আক্রান্তদের উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। গলা ব্যথা, সর্দি জ্বর, মাথা ধরা এই সমস্ত উপসর্গ দেখা দিলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলা হচ্ছে।
করোনা টীকা না নিলে থাকবে না চাকরি
মহারাষ্ট্রে যাদের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে যার মধ্যে চারজন মুম্বাই, একজন পুনে, এবং একজন পিম্পরি চিঞ্চওয়াড় এর বাসিন্দা। অন্যদিকে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গুলির মধ্যে আন্দামান-নিকোবর 100% টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। 16 ই জানুয়ারি সেখানের দু’লক্ষ সাতাশি হাজার বাসিন্দা টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল৷