ভারতে ব্যবহারের জন্য করোনার টিকা কোভিশিল্ডের পর কোভ্যাক্সিনেও মিলল সরকারি ছাড়পত্র। আজ কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এই অনুমোদন দেওয়া হল। যদিও কোভ্যাক্সিন নিয়ে চূড়ান্ত ছাড়পত্র দেবে ড্রাগ কন্ট্রোলার অফ ইন্ডিয়া।
কোভিশিল্ড টিকা বিদেশের ফর্মুলায় তৈরি হলেও কোভ্যাক্সিন কিন্তু এদেশেই তৈরি। হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেক সংস্থা তৈরি করছে কো ভ্যাকসিন।
কোভ্যাক্সিন টিকা তৈরির কাজে যুক্ত ডঃ সবিতা বর্মা জানিয়েছেন, ১০ মিলিয়ন টিকা প্রস্তত রয়েছে ভারত বায়োটেকের। তবে জানা যাচ্ছে, করোনা প্রতিরোধে কোভ্যাক্সিন কতটা কার্যকরী তা নিয়ে কোনও রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করেনি ভারত বায়োটেক। যদিও প্রথম পর্যায়ের ট্রায়ালের রিপোর্ট সন্তোষজনক বলে দাবি হায়দরাবাদের এই সংস্থাটির। দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালেও ফলাফল সন্তোষজনক। কোভ্যাক্সিন শরীরে প্রয়োগ করলে এর থেকে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডি আমাদের দেহে ৬- ১২ মাস পর্যন্ত সক্রিয় থাকবে। তৃতীয় ট্রায়াল এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। তৃতীয় ট্রায়ালের শেষেই এই টিকা মানবশরীরে প্রয়োগের চূড়ান্ত ছাড়পত্র মিলবে।
রামায়ণে বর্ণিত পুষ্পক রথ কী প্রথম আকাশযান? উত্তর খুঁজতে চাইছে খড়্গপুর আই আই টি
তাদের তৈরি করোনার টিকা জরুরীভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য সরকারের কাছে অনুমোদনের আবেদন করে ভারত বায়োটেক। এছাড়া সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়াও আবেদন করেছিল কোভিশিল্ডের জরুরি ব্যবহারের অনুমোদনের জন্য। এনিয়ে গতকাল এক বৈঠকে বসে বিশেষজ্ঞদের প্যানেল। এরপর কাল ও আজ পরপর দুটি টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হল সরকারের তরফে।