বঙ্গ নিউস, ৬ অক্টোবর, ২০২০ঃ মরা হাতি লাখ টাকা। আর মরা তারা?নোবেল পুরস্কার। ব্যাপারটা আসলে তেমনই তো। কৃষ্ণগহ্বর মানে মৃত তারার ভাণ্ডার। মৃত তারা জমে জমে কৃষ্ণগহ্বর তৈরি হয়। আর এই কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে গবেষণাই এবছরের পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার এনে দিল। নবতিপর ব্রিটিশ বিজ্ঞানী রজার পেনরোজ নোবেল পেলেন। তাঁর সঙ্গে আছেন আরও দুজন। জার্মানির রেইনহার্ড গেঞ্জেল এবং আমেরিকার আন্দ্রে গেজ। নোবেলের ইতিহাসে পদার্থবিজ্ঞানে চতুর্থতম মহিলা আন্দ্রে গেজ মনে করেন, এই ধারায় বিশ্বের আরও মহিলা নোবেল পাবেন আগামী দিনে।
আরও পড়ুন চলে গেলেন সত্যজিতের সহ পরিচালক
‘এই মহাবিশ্ব রহস্যের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় আবিষ্কারের জন্য এই পদার্থবিদরা এবারের নোবেল পাচ্ছেন’—ঘোষণা করল নোবেল কমিটি।
জেনারেল থিয়োরি অফ রিলেটিভিটিই যে কৃষ্ণগহ্বরের অভিমুখে নিয়ে যায়, এই তথ্য তুলে এনেছেন রজার পেনরোজ।
গেঞ্জেল এবং গেজ আবিষ্কার করলেন, আমাদের গ্যালাক্সির একেবারে কেন্দ্রে তারাদের কক্ষপথকে নিয়ন্ত্রণকারী অদৃশ্য ও প্রচণ্ড ভারী এক বস্তুর উপস্থিতি।
প্রসঙ্গত, ১৯৬৫ সালেই রজার পেনরোজ অঙ্ক দিয়ে প্রমাণ করে ফেলেছেন, ব্ল্যাকহোল এই মহাবিশ্বের প্রচণ্ড ঘন এক বস্তু। এর ভয়ানক শক্তিশালী মহাকর্ষ-ক্ষেত্রও তৈরি হয়। যার হাত থেকেও আলো রেহাই পায় না।
গেঞ্জেল এবং গেজ অবশ্য এই গবেষণায় এসেছেন আরও পরে। তবু কৃষ্ণগহ্বর বিষয়ে তাঁদের গবেষণাও পেনরোজের চেয়ে কোনও অংশে কম নয়।