পরিযায়ী শ্রমিকরা চিরকালই উপেক্ষিত থেকে গেছে। তাঁদের দুরাবস্থার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠে এসছে বারেবার। এবার একদল মজদুরের সাথে অভাবনীয় ঘটনা ঘটল, এটা রাজনীতি মনে হলেও দূর্ভাগ্য সেই মজদুরদের। এই ঘটনার ফলে বিক্ষোভে ফেটে পরে একদল মজদুর। একদল মজদুর উত্তরপ্রদেশের দীনদয়াল উপাধ্যায় স্টেশনে বিক্ষোভ দেখায় , এই কারনে বিশাখাপত্তনমের উদ্দেশ্যে তারা যাচ্ছিলেন কিন্তু মাঝপথে যাত্রাপথ বদল করে ট্রেনটি। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর দীনদয়াল উপাধ্যায় স্টেশন থেকে ট্রেনটি না ছাড়লে তারা লাইনে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। এমনিতেই করোনা প্রভাবে কার্যত স্তব্ধ হয়ে রয়েছে গোটা দেশ। করোনা রুখতে সারা দেশ জুড়ে লকডাউন জারি রয়েছে। গত ১৮ ই মে থেকে আরও দুসপ্তাহের জন্য চুতর্থ দফার লকডাউন শুরু হয়েছে। এই লকডাউনের ফলে সারা দেশের যান চলাচল বন্ধ। বন্ধ রেল পরিষেবা। যদিও কিছু স্পেশ্যাল ট্রেন চালানো হচ্ছে অবশ্য তা বাইরে আটকে পড়া শ্রমিক, ছাত্র, পর্যটকদের ফেরানোর জন্য। এরমধ্যে ভারতীয় রেল সিদ্ধান্ত নিয়েছে ১ জুন থেকে ২০০ টি প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালাবে। এর জন্য বুকিং ও চালু করেছে ভারতীয় রেল। ভিড় এড়ানোর জন্য স্টেশন ছাড়াও কমন সার্ভিস সেন্টার থেকেও টিকিটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সামজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য এই পদ্ধতি নেওয়া হয়েছে, নয়া দিল্লির পাহাড়গঞ্জ বুকিং কাউন্টারে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে শ্রমিকরা লাইন দিয়েছেন এবং পুলিশ প্রশাসনও এই ক্ষেত্রে যথেষ্ট সাহায্য করেছে। ভিন্ন ভিন্ন রাজ্যের আটকে পড়া শ্রমিকরা বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে নয়া দিল্লি স্টেশনে এসছেন এবং পুলিশি সহায়তায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই তারা টিকিটের লাইনে দাঁড়িয়েছেন। একই শ্রেণীর মানুষের দুজায়গায় দুরকম চিত্র ধরা পড়েছে।
পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে তাদের গন্তব্যের দিকে যাচ্ছিলো ট্রেনটি, মাঝপথে যাত্রাপথ বদল… শুরু হয় বিক্ষোভ।
previous post
1 comment
[…] আরো পড়ুন : পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে তাদে… এখনও পর্যন্ত যা খবর পাওয়া গেছে তাতে করোনা মুক্ত মানুষের সংখ্যা ৫০,০০০ জন ভারতীয়। শুধু দেশে না বিদেশে যে ভারতীয়রা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের অনেকে আজ সুস্থ হবার দিকে। যার গড় হিসেবে দাঁড়ায় ৪১.৫৯ শতাংশ এই হিসাব নেহাত কম নয়। […]