বাংলায় শুটিংয়ের কাজ শুরু হলেও সমস্যা রয়েছে বিস্তর। বিশেষত শিল্পীদের পারিশ্রমিক সংক্রান্ত সমস্যার জেরে ক্ষোভ বাড়ছে আর্টিস্ট ফোরামে। সকলেরই একপ্রকার অনুচ্চারিত দাবি ছিল, যদি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারে আর্টিস্ট ফোরাম, তাহলে সমাধান মেলে।
সময় দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর্টিস্ট ফোরামের সঙ্গে বৈঠক হল তাঁর। মন দিয়ে শুনলেন ফোরামের সব অভিযোগ। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রযোজক, শিল্পী, টেকনিশিয়ান সহ টালিগঞ্জের সব অংশের প্রতিনিধিরাই।
সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনেই শুরু হয়েছে শুটিং। শিল্পী এবং টেকনিশিয়ান মিলিয়ে ৩৫জনের বেশি কোনও ইউনিটেই কেউ থাকছেন না। ফ্লোর ও পোশাক বারবার স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। তবে দু’এক জায়গা থেকে যে অভিযোগ আসছে না, তা নয়। মেকআপ রুমে বেশি লেক ঢোকানোর অভিযোগ পেয়েছেন তিনি। সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন প্রয়োজনীয় সইপর্ব মিটল বুধবার থেকে ফ্লোরে বাংলার সিনেমা
তবে এদিনের বৈঠকে অন্যতম বড় ইস্যু হয়ে ওঠে শিল্পীদের পারিশ্রমিক। আর্টিস্ট ফোরামের এক সদস্য জানান, ফোরামে প্রায় সাড়ে তিন হাজারের বেশি রেজিস্টার্ড আর্টিস্ট রয়েছেন। তার মধ্যে সবাই কাজ পাচ্ছেন না। বিশেষ করে করোনা পরিস্থিতিতে অনেকেরই কাজ নেই। ফলে টাকাও নেই। তার উপর চ্যানেল কর্তৃপক্ষ কম টাকায় কাজ করার জন্য চাপ দিচ্ছেন শিল্পীদের।
বৈঠকে তিনি বলেন, সবার মাথায় রাখা উচিত যারা ছোট চরিত্র কাজ করেন তারা টাকা কম পান। দৈনন্দিন কাজ করারও নিশ্চয়তা নেই। সিরিয়ালে মাত্র ৫ থেকে ৬ জন শিল্পী বেশি কাজ করেন। বেশিরভাগই ৩-৪ দিনের আর্টিস্ট। কেউ যদি চান, পারিশ্রমিক কমাতে পারেন স্বেচ্ছায়। কিন্তু করোনার উদাহরণ দিয়ে কমাতে বলা অযৌক্তিক। কারণ ৩ মাসের উপর আর্টিস্টরাও বসেছিলেন। তাদের থেকে টাকা কেটে নেওয়া হলে তারা কীভাবে সংসার চালাবেন? জিনিসের দাম বেড়েছে। এমনিতেই তো কম শিল্পী কাজ করছেন। তাহলে টাকা কমাতে বলার অর্থ কী?
আরও পড়ুন মা চলে গেলেন শনিবার, রবিবার সকালেই আবার শুটিংয়ে কাঞ্চন মল্লিক
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে শিল্পীদের পারিশ্রমিকের বিষয়টি নজরে রাখার আবেদন জানায় আর্টিস্ট ফোরাম।
সব শুনে মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দেন, সরকার সমস্ত দিক খতিয়ে দেখবে। খুব শীঘ্র কোনও সমাধান বেরিয়ে আসবে নিশ্চয়ই।
