Home দেশ সেনাবাহিনীর মনোবল বাড়াতে লাদাখে গেলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

সেনাবাহিনীর মনোবল বাড়াতে লাদাখে গেলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

by banganews
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই সংকটকালীন পরিস্থিতিতে, দেশের বীর সেনা জাওয়ানদের পাশে তাদের মনোবল বৃদ্ধির জন্য শুক্রবার সকালেই গিয়ে পৌঁছালেন লাদাখে। কেবল তিনিই নন তার সঙ্গে গিয়েছেন দেশের ডিফেন্স স্টাফ চিফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত এম.এম নারাভানে।
প্রধানমন্ত্রী মোদি বর্তমানে যে স্থানে রয়েছেন সেটি ভারতীয় সীমান্ত প্রদেশগুলির মধ্যে অন্যতম প্রতিকূল আবহাওয়া সম্পন্ন ও মনুষ্য বসবাসের অনুপযোগী। এটি লাদাখের নিমু অংশের সুরক্ষিত একটি অগ্রবর্তী বেসের বাঙ্কার। সেখানে তিনি ইন্ডিয়ান আর্মির বিভিন্ন আধিকারিকদের সাথে কথাবার্তা বলে সেখানকার অবস্থাটি অনুধাবন করতে চাইছেন। এছাড়াও সেখানের এএফ(এয়ার ফোর্স) আর আইটিবিপি – (ইন্ডো টিবেটান বর্ডার পুলিশ) এদেরকেও সময় দেন প্রধানমন্ত্রী, এবং কথোপকথন চালান।
১১ হাজার ফুট উচ্চতায় জাস্কার রেঞ্জ ও সিন্ধুতট মধ্যস্থ এই অঞ্চলে দেশের প্রধানমন্ত্রীর আকস্মিক আগমন চমকে দিয়েছে সবাইকে। জুনের ১৫ তারিখ সম্মুখ সমরে ২০ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যুর পর থেকেই চড়েছে সীমান্তে উত্তাপের পারদ। জেনারেল রাওয়াত ইস্ট লাদাখ সেক্টরে গতদিন পিএলএ’র (পিপিলস লিবারেশন আর্মি) বিরুদ্ধে ভারতীয় বাহিনীর ত্রিমুখী সমর-প্রস্তুতি, আর সেই অঞ্চলের চারটির কৌশলগত বিন্দু থেকে সেনা অপসারণের ও তৎপরতা হ্রাসের জন্য ভারতীয় পক্ষের যে দাবী তা বুঝতে গিয়েছিলেন।
সেনাপ্রধান হিসেবে তিনি চাইনিজ পিএলএ’র ডোকলাম পল্টনে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন ২০১৭ সালে। ইন্দো-ভুটান-চীন এই ত্রিসীমানার বিতর্কে ৭৩ দিন যাবৎ স্নায়ুযুদ্ধে শামিল ছিলেন তিনি। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, তিনিও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে লাদাখের ওয়েস্ট সেক্টরে যাবেন বলে খবর।
যদিও বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন যে পরিস্থিতি সহজ হবার জন্য যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের মাধ্যমে কুটনৈতিক সমঝোতায় আসা দরকার তা চীন তরফের নাকচ করা হয়েছে। ত সেনা অপসারণ ও শান্তি স্থাপনে দুদিকের সরকারকেই সমান ভূমিকা নিতে হবে।

You may also like

Leave a Reply!