চাইনিজ পিপলস লিবারেশন আর্মি নিজেদের সেনাছাউনি, সশস্ত্র সাঁজোয়া গাড়ি, নিয়ে পিছিয়ে গেল ১-২ কিলোমিটার। চলতি মাসের প্রথমদিন উভয়পক্ষের শীর্ষস্থানীয় কমান্ডারদের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে শান্তি প্রস্তাব পেশ করা হয়। নির্ধারিত অঞ্চল থেকে সেনা অপসারণের যে স্থান নির্দিষ্ট সেখানে পিছিয়ে গিয়েছে পিএলএ। চীনের মতো ভারতীয় জওয়ানরাও গালওয়ান উপত্যকা থেকে পশ্চাদপসরণ করে পূর্ব লাদাখে ভারতীয় সীমানার ভিতর দিকে চলে আসে।
১৫ ই জুন ভারত ও চীনের মধ্যে পারস্পরিক বচসার জেরে যে বীভৎস খণ্ডযুদ্ধ সংঘটিত হয় তাতে শহীদ হয়েছিল ২০ জন বীর ভারতীয় সেনা। ভারতীয় সেনাবাহিনী সূত্রে জানা যাচ্ছে, পদাতিক সেনা, তাবু ও সাঁজোয়া গাড়ি সরিয়ে নেওয়া হলেও বেশ কিছু ভারী যান গালওয়ান নদী উপত্যকার বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। সমস্ত বিষয়টি ভারতীয় সেনাবাহিনী গভীর মনোযোগের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে, এবং চীনা সেনার গতিবিধি বোঝার চেষ্টা চালাচ্ছে। পয়লা জুলাই, চীনের দিকের লাইন অফ একচুয়াল কন্ট্রোলে অর্ধ দিবস ব্যাপি চলা বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুসারে সেনা অপসারণ কার্যকর হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন : মাঝ আকাশে সংঘর্ষ, বিমান ভেঙে আমেরিকায় মৃত ৮
দুই তরফেরই মিলিটারি কমান্ডাররা এদিন সাক্ষাৎ করেন এবং ৪ ঠা মে পূর্ববর্তী নিজেদের অবস্থানে ফিরে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেন। সেনা অপসারণ, সেনা তৎপরতা হ্রাস, স্বাভাবিক টহলদারির পুরনো ছকে প্রত্যাবর্তন ও সামরিক চাপ কমানো প্রভৃতি বিষয় গুলি চীন ও ভারত উভয় পক্ষের কমান্ডার দ্বারা স্বীকৃত হলে সেনা অপসারণের প্রক্রিয়া নির্বাহ করা হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লে-লাদাখ সফরের ৪৮ ঘন্টা যেতে না যেতেই কূটনৈতিক স্তরে শান্তি-সমঝোতা স্থাপনের এই সাফল্য সত্যিই অভূতপূর্ব।