Home দেশ ভুটানের সঙ্গে চীনের নতুন সমস্যা ভারতের অরুণাচল প্রদেশ

ভুটানের সঙ্গে চীনের নতুন সমস্যা ভারতের অরুণাচল প্রদেশ

by banganews
ভুটানের পূর্বাংশকে চীন সহসা দক্ষিণ তিব্বত বলে দাবি করলে, ভুটানের রাজধানী থিম্পু ও বেইজিংয়ের মধ্যে সীমানা সংক্রান্ত বিবাদ-বিসংবাদ ঘনিয়ে ওঠে। বহু রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞের মতে ভুটানের এই পূর্বদিকের অংশ থেকে ভারতের অরুণাচল প্রদেশের ওপর নজরদারি করা সহজ, তাই এই অঞ্চলটিকে দখলে নিতে পারলে সেই কৌশলগত বিন্দুকে কাজে লাগিয়ে অরুণাচল প্রদেশের ওপর চাপ বাড়ানো সম্ভব হবে।
বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চীনের বেড়ে চলা সীমান্ত সমস্যায় যুক্ত হল আরেকটি দেশের নাম। এই আগ্রাসন কুটনৈতিকভাবে ভুটানের মিত্ররাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে একটা নতুন ফ্রন্টে যুদ্ধ সূচনার সামিল বলে মনে করছে অনেকে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা ভুটানের পূর্বাচল থেকে অরুণাচলের ওপর নজরদারির সুবিধাকে চাবিকাঠি করে ১৯৬২ সালের মতো সম্মুখ সমরে অবতীর্ণ হতে চাইছে চীন।
এই বছর জুন মাসের প্রথম বহুপাক্ষিক পরিবেশ সম্মেলনে বহুদেশের উপস্থিতিতে চীনের বিদেশ মন্ত্রক  আকস্মিকভাবে ভুটানের পূর্বাঞ্চলকে তিব্বতের দক্ষিণাংশ বলে দাবি করে। এই দাবি চমকে দেয় বিশ্বকে। বিশেষত ভারত-ভুটানের মধ্যে নিজের সীমানা বন্টন ও ২০০৬ সালে ইন্দো-ভুটান বাউন্ডারি ডিলিমিটেশন এগ্রিমেন্টের পর থেকে সে অঞ্চলে হওয়া সামগ্রিক উন্নয়ন ভারত ভুটান সম্পর্ককে মজবুত করেছে।
এই অভিনব রাজনৈতিক চালে নয়াদিল্লিকে চাপে রাখতেই বেইজিং তার প্রতিবেশী ক্ষুদ্র দেশটির সঙ্গে তার সীমানা বন্টন বিতর্ককে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আলোচনার একটি বিষয় করে তুলছে। ভারত ও ভুটানের পারস্পরিক যৌথতা ও সামরিক চুক্তি জন্য সেখানে চীনের আগ্রাসন রুখতে বদ্ধপরিকর হতে হবে ভারতকে। বিশ্বসমক্ষে না বললেও ভারত ও ভুটানের এইরূপ হৃদ্যতা কোনভাবেই বরদাস্ত ও ছিলনা চীনের, তাই লাদাখে যখন ইন্দো-চীন সীমান্ত সংঘর্ষ তুঙ্গে তখন নতুন আরেকটি ফ্রন্টে কূটনৈতিক জয় হাসিল করতে চায় চীন। সেখানকার বিদেশমন্ত্রক তরফে জানানো হয়।
ভুটান এবং চীনের মধ্যে পূর্ব, মধ্য ও পশ্চিম অংশ নিয়ে সীমান্ত বচসা দীর্ঘদিনের, এই দুটি দেশের ব্যক্তিগত বিষয় অপরকোন তৃতীয় পক্ষের অনুপ্রবেশ স্বাগত নয়। এই কড়া বার্তা আদতে নয়াদিল্লির দিকেই অঙ্গুলিনির্দেশ করছে।

You may also like

Leave a Reply!